চলতি সময়ের অভিনেত্রী শাহনাজ সুমি। ওয়েব সিরিজ ‘বুকের মধ্যে আগুন’ ও ‘মোবারকনামা’ তাকে এনে দিয়েছে অন্যরকম পরিচিতি। প্রশংসিত হয়েছে তার সাহসী অভিনয়। ‘সেরা নাচিয়ে’ খ্যাত সুমি তাই অভিনয়েই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

গোলাম সোহরাব দোদুলের ‘মোবারকনামা’ সিরিজে সুমি অভিনয় করেন একজন ধর্ষিতার চরিত্রে। তিনি জানান, ‘সুরাইয়া-চরিত্রটির কয়েকটি লেয়ার আছে। অল্প বয়সেই যার মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়। প্রথমদিকে কাজটি চ্যালেঞ্জিং ছিল। পরবর্তী সময়ে কাজ শুরু করার পর তা আনন্দদায়ক হয়ে যায়। আসলে চরিত্রটিকে ভালোবাসলে চ্যালেঞ্জও আনন্দে পরিণত হয়। কষ্ট হলেও আনন্দ নিয়ে কাজটি শেষ করেছি। কষ্ট গায়ে লাগেনি। যদিও কষ্টের দাগ গায়ে রয়ে গেছে। স্রোতের মতো দর্শকের প্রতিক্রিয়া এসেছে। এখনো তা অব্যাহত আছে। কাজ ভালো হলে দর্শকও ভালো প্রতিক্রিয়া জানায়। যদিও শুরুতে ট্রেলার দেখে অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেছিল। পরে তা আর হয়নি।’

শুরুতে অস্বস্তি কাজ করলেও পরবর্তী সময়ে চরিত্রটিতে অভিনয় করতে রাজি হন সুমি। তার ভাষ্য, ‘দর্শক কিভাবে নিবে তা নিয়ে সংশয় কাজ করেছে। আশপাশের মানুষজন আঙুল তুলবে এটিও মনে হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে কনটেন্ট যে বার্তা দিচ্ছে, তা মানুষজনের আঙুল তোলার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। সে ভাবনা থেকে কাজটি করা।’

এদিকে তানিম রহমান অংশুর ‘বুকের মধ্যে আগুন’ সিরিজে সুমি অভিনয় করেন নব্বই দশকের এক চিত্রনায়িকার চরিত্রে। শবনম চরিত্রটির মাঝে দর্শক শাবনূরকে খুঁজে পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেন। সুমির ভাষ্য, ছোটবেলায় যখনই সাজতাম, মা বলতেন ‘তোকে তো শাবনূরের মতো লাগছে।’ বড় হতে হতে এ কথা অনেকবার শুনতে হয়েছে। 

সুমিকে পর্দায় কম দেখা যায়। কাজ করেন বেছে বেছে। তার মতে, ‘আমি ভালো কাজ করতে চাই। মানসম্মত কাজের সংখ্যা বাড়াতে চাই। মাধ্যম কোনো বাধা নয়। আমার কাছে ভালো কাজ কম আসছে। আমাদের দেশে বছরজুড়ে ভালো কাজই হয় হাতে গোনা কয়েকটি। তাই এমনটি হওয়াই স্বাভাবিক। তা ছাড়া গল্প হাতে এলে দুটি বিষয় খেয়াল করি। প্রথমত, গল্পটির প্রতি কোনো টান অনুভব করছি কি না। দ্বিতীয়ত, আমার চরিত্রটি গল্পে কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে কি না। অর্থাৎ চরিত্রটির গুরুত্ব কেমন সেটি। গেল বছর এমন দুটি কাজ করতে পেরেছি বলেই দর্শক আলাদাভাবে নামটা চিনেছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কয়েক মাস আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন সুমি। চকলেটের সঙ্গে নেশাদ্রব্য খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করার চেষ্টা করেন একজন পরিচালক। তিনি কৌশলে বেরিয়ে আসেন সে জায়গা থেকে। এর আগে শোবিজে ক্যারিয়ারের শুরুতে একটি টিভিসির শুটিংয়ে গিয়ে চা পান করতে গিয়ে অস্বস্তি হয় তার। সে কাজটি না করেই চলে আসেন সুমি।