
শাবনূর। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর। টানা প্রায় দেড় যুগ দর্শকদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন
তিনি। সমসাময়িক নায়িকাদের মধ্যে তিনি ছিলেন শীর্ষে। তবে এক
যুগের বেশি সময় অভিনয়ে নেই ঢালিউড ‘কুইন’।
২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্যবসায়ী অনীক মাহমুদের সঙ্গে আংটি বদল করেন অভিনেত্রী। পরের বছরের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে চলচ্চিত্রে অনিয়মিত হয়ে পড়েন শাবনূর। বিয়ের পর ভাই ও বোনদের মতো শাবনূরও স্বামী অনীককে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস শুরু করেন।
২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর শাবনূর-অনীক দম্পতির ছেলে আইজান নিহানের জন্ম হয়। ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি অনীক মাহমুদের সঙ্গে শাবনূর বিবাহবিচ্ছেদের খবর জানান। বর্তমানে সন্তানকে নিয়ে স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়াতেই বসবাস করছেন বাংলা চলচ্চিত্রের একসময়ের সুপারহিট এই নায়িকা।
সেখানে কেমন আছেন এ নায়িকা? কিভাবে কাটে তার সময়? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন তার ভক্তরা। এ প্রসঙ্গে শাবনূর বলেন, ‘আমার তো ভাই-বোন-মাসহ সবাই এখন অস্ট্রেলিয়াতে থাকেন। এক যুগের বেশি সময় এখানে থাকার কারণে অনেক বন্ধুবান্ধবও জুটেছে। তাদের সঙ্গে আড্ডা হয়। ঘুরতে যাই। আমি নিজে ড্রাইভ করতে পছন্দ করি। বন্ধুরা ব্যস্ত থাকলে আমি ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বের হই। এ ছাড়া আমার ছেলের স্কুল আছে, তার দেখভাল সবই আমাকে করতে হয়। পরিবার, সাংসারিক নানান কাজকর্ম এবং বন্ধুবান্ধব মিলে সময়টা দারুণ কাটে।’
জীবনের ৪৫ বছর পেরিয়ে আজ ৪৬–এ
পা দিলেন নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। ১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর শাবনূরের
জন্ম যশোরের শার্শা উপজেলায়, তাঁর বাবার নাম শাহজাহান চৌধুরী। তিন ভাই-বোনের মধ্যে
শাবনূর বড়। শাবনূরের ছোট বোনের নাম ঝুমুর, ভাই তমাল। পারিবারিকভাবে শাবনূরের নাম রাখা
হয় কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর। পরে কাজী শারমিন নাহিদ নূপুর নামটি পাল্টে চলচ্চিত্র
পরিচালক এহতেশাম রাখেন শাবনূর। ১৯৯৩ সালে এই পরিচালকের ‘চাঁদনী রাতে’ ছবির
মাধ্যমে ঢালিউডে পথচলা শুরু হয় তার।