
র্যাপার হান্নান হোসাইন শিমুল এবং মোহাম্মদ সেজান। ছবি: সংগৃহীত
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের মূলধারার সংগীতশিল্পীরা যখন চুপ ছিলেন, তখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের জন্য জ্বালাময়ী গানে আগুন ঝরিয়ে দিয়েছিলেন দুই তরুণ র্যাপার হান্নান হোসাইন শিমুল এবং মোহাম্মদ সেজান। আন্দোলনে ভূমিকা রাখা সেই কণ্ঠযোদ্ধারা এবার ঠাঁই করে নিয়েছেন পাঠ্যবইয়েও।
হান্নান হোসাইন শিমুলের ‘আওয়াজ উডা’ ও মুহাম্মদ সেজানের ‘কথা ক’ ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে বেগবান করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। আওয়াজ উডা গানের জন্য জেলেও যেতে হয় হান্নানকে।
সম্প্রতি হান্নান-শিমুলের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে। এরপর চলতি বছরের জাতীয় শিক্ষাক্রমের সপ্তম শ্রেণীর পাঠ্যবই - 'ইংলিশ ফর টুডে' তে দেখা যায়, 'নতুন প্রজন্ম' অধ্যায়ের 'জেনজি বিপ্লব' শিরোনামে উঠে এসেছে র্যাপার হান্নান ও সেজানের নাম। বইয়ের ৩০ নম্বর পাতার সেই অনুচ্ছেদের তাদের সম্পর্কে লেখা হয়েছে, ‘আপনি কি সেজানের ‘কথা ক’ গানটি শুনেছেন? আগের প্রজন্মের শিল্পীরা গানকে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করতে ভয় পেলেও সেজান ও হান্নানের মতো শিল্পীরা সে সাহস দেখিয়েছেন।’
অনুচ্ছেদে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তাদের র্যাপ গানগুলো ২০২৪ সালের জুলাই বিদ্রোহের সংগীতে পরিণত হয়েছিল। নতুন প্রজন্ম আর ভয় পায় না; তারা সাহসী এবং ব্যতিক্রম।’
পাঠ্যবইয়ে নিজের নাম দেখে আপ্লুত মুহাম্মদ সেজান ও হান্নান। হান্নান বলেন, ‘এখন গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, বাংলা র্যাপ বহুত বড় ব্যাপার, এডা অহন আর আন্ডারগ্রাউন্ডে নাই। সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। এখন আমাদের গল্প বইয়ের পাতায় পড়তে পারবেন সবাই।’
মুহাম্মদ সেজান বলেন, ‘এই র্যাপ সংগীত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ড্রপ করেছি। এখন স্কুলে আমাদের গল্প পড়ানো হবে। জনগণের কাছে চিরকৃতজ্ঞ আমরা।’