
হানিফ সংকেত। ছবি: সংগৃহীত
ঠাকুরগাঁয়ে ‘ইত্যাদি’র শুটিংয়ে কোনো হামলা বা ভাঙচুর কিছুই হয়নি বলে জানান নন্দিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত।
তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের টংকনাথ জমিদারবাড়িটি প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত। আমরা ভেবেছিলাম, বেশি গাদাগাদি
করে বসলেও অনুষ্ঠানে ৭-৮ হাজার মানুষের জায়গা দিতে পারব। তারপরেও লোকে টইটম্বুর হয়ে
গেছে। বাইরে যে আরও লাখো মানুষ অপেক্ষা করছে, এটি জানতাম না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনুষ্ঠান যখন শুরু হয় তখন সবাই এক সঙ্গে
ঢুকতে চেয়েছে। ফলে বাঁশের যে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল, তা ভেঙে লোকজন অনুষ্ঠানস্থলে
ঢুকে পড়ে। ভেতরে যারা ছিলেন, খুব বিরক্তিবোধ করছিলেন। কেউ কেউ ভেতরে থাকা মানুষের গায়ের
ওপরও হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। এরপরেই বিশৃঙ্খলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসে
পরিস্থিতি শান্ত করেছেন। আমরা অনুষ্ঠানের দৃশ্যধারণ বন্ধ করে দিয়ে লাইট বন্ধ করে দিলাম।
ঘোষণা দিয়ে অনুষ্ঠান সাময়িক বন্ধের কথা জানালাম। কিছু দর্শক ঠান্ডার কারণে অনুষ্ঠান
থেকে বের হয়েছিলেন। অবশিষ্ট যারা ছিলেন তাদের উপস্থিতিতেই অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে শেষ
করি। যখন শুটিং শুরু করেছি, সেখানে থাকা সবাই বেশ স্বতঃস্ফূর্ত ছিল ।’
গত দু’দিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ ঘুরছে। যেখানে দেখা যায়, ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র দৃশ্যধারণ শুরুর কিছুক্ষণ পর চেয়ার ছোড়াছুড়ি হচ্ছে। একপর্যায়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানটি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার অনুষ্ঠান শুরু করে কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাড়ে ৭টার পরেই হয় ঘটনার সূত্রপাত। তখন হানিফ সংকেত মঞ্চে উঠেছিলেন। এরপর ছিল নাচের পরিবেশনা। রবি চৌধুরী ও লিজার গানের মাঝেই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা।