
মরণোত্তর
সম্মাননা হিসেবে ‘রবীন্দ্রপদক’ পাচ্ছেন প্রয়াত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া
সারোয়ার। জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের ৪৩তম বার্ষিক অধিবেশনে এ পদক পাপিয়া
সারোয়ারের পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হবে।
আগামী ২৩,
২৪ ও ২৫ জানুয়ারি
অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের ৪৩তম বার্ষিক অধিবেশন। ছায়ানট
সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে তিনদিন ব্যাপী এ সম্মেলনেই স্মরণ করা হবে সংগীতশিল্পী
পাপিয়া সারোয়ারের স্মৃতি। দেয়া হবে বিশেষ সম্মাননাটি। এ আয়োজনে প্রধান অতিথি
হিসেবে থাকছেন বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবী।
সম্মেলন উদ্বোধন করবেন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ফাহমিদা খাতুন। এবারের আয়োজনে
অংশ নেবেন পাঁচ শতাধিক শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী ও
সংগঠক।
পাপিয়া সারোয়ারের
জন্ম বরিশালে, ১৯৫২ সালে ২১
নভেম্বর। ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল
হক, সনজীদা খাতুন ও জাহেদুর
রহিমের কাছে এবং পরবর্তী সময়ে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন।
গানের প্রতি
দুর্বলতা থেকেই ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী
বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে পড়াশোনা করেন।
১৯৯৬ সালে তিনি ‘গীতসুধা’ নামে একটি গানের দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার
অসংখ্য অ্যালবাম রয়েছে। আধুনিক গানেও রয়েছে তার সাফল্য। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য
একুশে পদকপ্রাপ্ত হন গুণী এ সংগীতব্যক্তিত্ব।