
ইউসুফ জুলেখা সিরিয়ালের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
দেশীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত হচ্ছে বিদেশি সিরিয়াল। বেশিরভাগই তুর্কি সিরিয়াল। তুরস্কের আলোচিত ধারাবাহিক সুলতান সুলেমান- এর প্রচারের পর দেশটির বেশকিছু মেগাসিরিয়াল প্রচারিত হচ্ছে দেশীয় চ্যানেলগুলোতে। সুলতান সুলেমানের মতো ততটা দর্শকপ্রিয়তা পায়নি প্রচারিত হওয়া এসব মেগাসিরিয়াল। তারপরও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বিদেশি সিরিয়ালের সংখ্যা।
এ নিয়ে অনেকটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর মধ্যে। এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে দীপ্ত টেলিভিশন। বিটিভির পর বিদেশি সিরিয়াল প্রচার করে আলোচনায় আসে স্যাটেলাইট চ্যানেলটি। ‘সুলতান সুলেমান’ প্রচারে পরপরই দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলে দেয় দীপ্ত টিভি। এরপর প্রচারে আসে ‘সুলতান সুলেমান কোছেম’। এটিও সফলতার সঙ্গে সম্প্রচার শেষ হওয়ার পর দর্শকদের জন্য দীপ্ত টিভি নিয়ে আসে সম্পূর্ণ ভিন্নধারার একটি রোমাঞ্চকর ধারাবাহিক ‘এইযেল’।
জনপ্রিয় টিভি সিরিজ ‘হারকিউলিস’। দীর্ঘদিন বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারিত বাংলায় ডাবিং করা মার্কিন সিরিজে বুঁদ হয়ে থাকত দর্শক। দীর্ঘদিন পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে ‘হারকিউলিস’ ফের প্রচারে আনে মাছরাঙা টেলিভিশন। গত বছরের নভেম্বর থেকে নাগরিক টিভিতে প্রচার শুরু হয় বাংলায় ডাবিং করা বিদেশি ধারাবাহিক ‘সম্রাট জাহাঙ্গীর : নূরজাহান’।
এদিকে ‘ইউসুফ জুলেখা’ শেষ হতে না হতেই এসএ টিভিতে প্রচার হচ্ছে ‘বিবি মরিয়ম ও ঈসা’। এটিএন বাংলা দেখাচ্ছে বাংলায় ডাবিংকৃত তুর্কি ধারাবাহিক ‘জান্নাত’। কোরীয় জনপ্রিয় ধারাবাহিক টিয়ার্স অব হ্যাভেনের কাহিনী অবলম্বনে জান্নাত পরিচালনা করেছেন তুর্কি নির্মাতা সাদুলস্নাহ জেলেন। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ধারাবাহিকটি প্রচারিত হয়েছে তুরস্কের শীর্ষস্থানীয় চ্যানেল এটিভিতে। বাংলাদেশে সিরিয়ালটি প্রচারে আসার আগে রাজধানীজুড়ে অনেক প্রচারণা চালানো হয়। গত জুন মাস থেকে দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত হচ্ছে তুরস্কের ‘ফাতমাগুল’।
বিদেশি ভাষায় ডাবিং করা ধারাবাহিকগুলো বন্ধে আন্দোলন করেছিল ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এফটিপিওর সদস্যসচিব গাজী রাকায়েত বলেন, আমরা একটা নীতিমালা তৈরি করে সরকারকে দিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখজনক, সেটা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি ও নাট্যকার মাসুম রেজা বলেন, আমাদের দাবি ছিল টেলিভিশনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। আমাদের প্রধান দাবি, বিদেশি সিরিয়াল বন্ধ করা নয়, সরকারি নিয়ম মেনে যেন আনা হয়, তা দেখতে বলেছিলাম। ওই সময় নীতিমালা তৈরির জন্য কমিটিও করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক, সেটা বাস্তবায়িত হয়নি।’