
আজমেরী হক বাঁধন
জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে টালিউড ও বলিউডেও অভিনয়ের দ্যুতি ছড়িয়েছেন তিনি। জুলাই আন্দোলনে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে রাজপথেও সরব ছিলেন এই অভিনেত্রী। এদিকে ঈদে মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত একটি সিনেমা। ঈদের সিনেমা ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে সাম্প্রতিক দেশকালের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
‘এশা দ্য মার্ডার’ সিনেমাটি নিয়ে জানতে চাই
সিনেমাটি এবার ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় আছে। সিনেমাটি নিয়ে শুরু থেকে আমি খুব আশাবাদী। এটি পুরোপুরি কমার্শিয়াল সিনেমা। পরিচালনা করবেন সানী সানোয়ার। এ সিনেমায় আমি পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছি।
এরপর আর কোন কোন সিনেমায় দেখা যাবে?
রেজওয়ান সুমিতের ‘মাস্টার’ সিনেমার কাজ শেষ করেছি। চলতি বছরেই সিনেমাটি দর্শক দেখার সুযোগ পাবে আশা করছি। নতুন একটি সিনেমা ও সিরিজের কাজের বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। খুব শিগগির এগুলো নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব।
কাজের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন?
এ সময়ে আমি গল্পের পাশাপাশি তরুণ নির্মাতাদের কাজকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। নতুনদের অনেকেই এখন নতুন নতুন চিন্তা নিয়ে কাজ করছেন। এবারের ‘বরবাদ’ ও ‘জংলী’ সিনেমার দিকে তাকালেও সেটি দেখতে পাই।
শোবিজে শিল্পীদের মধ্যে দুটি ভাগ হয়ে আছে। কারো নামের সঙ্গে ফ্যাসিস্ট সরকারের ট্যাগ লেগে আছে। কেউ আবার ছাত্র-জনতার পক্ষের দাবি করছেন। এই ভাগ হয়ে যাওয়াকে কিভাবে দেখছেন?
যেকোনো শিল্পীর রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে। তাই বলে তার বিপক্ষে চলে যেতে হবে, এটা মনে করি না। সে সময় অনেকে নানা কারণে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন, এটা সত্যি। এখন সেগুলো নিয়ে পরিবেশ খারাপ করার মানে হয় না। দিনশেষে আমরা সবাই শিল্পী। শিল্পীদের মধ্যে একাত্মতা থাকা প্রয়োজন।
শোবিজে নারী শিল্পীরা শ্রমের দিকে কতটা মূল্যায়ন পাচ্ছেন?
শুধু শোবিজ নয়, সমাজের সব সেক্টরেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীরা পিছিয়ে আছেন। আবার অনেক মাধ্যমে বেশ এগিয়েও গেছে বলতে হয়। তবে এখনো শোবিজে নারীদের প্রাধান্য দিয়ে কাজ হচ্ছে কম।
অর্থাৎ নারী প্রধান গল্পের কাজ তেমন নেই। নির্মাতারা নারী চরিত্র নিয়েও তেমন ভাবেন না। শ্রমের সম্মানির দিকেও পুরুষ তারকাদের চেয়ে নারী তারকারা পিছিয়ে আছে। আমি চাইব, প্রযোজক ও নির্মাতারা এ বিষয়টি নিয়ে নতুনভাবে ভাববেন।