অভিনেত্রী শার্লিন ফারজানাকে বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল মাসুদ হাসান উজ্জলের ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ সিনেমায়। তারপর কেটে গেছে প্রায় পাঁচ বছর। এর মাঝে শার্লিনকে কোনো পর্দায় দেখা যায়নি। তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন সংসার জীবন নিয়ে। সম্প্রতি বিরতি ভেঙেছেন তিনি। তার দেখা মিলেছে ইমরাউল রাফাতের ‘প্রজাপতি মন’ নাটকে। যেখানে তার সহশিল্পী আরশ খান ও সুনেরাহ। প্রায় সাত বছর পর ফের নাটকে কাজ করলেন শার্লিন।

শার্লিন বলেন, ‘অনেক দিন পর নাটকে অভিনয় করলাম। প্রথমে ভয় পাচ্ছিলাম। নতুন প্রজন্মের সহশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করব। দেখলাম আরশ আর সুনেরাহ টেনশন ফ্রি করে দিল। গল্পটা ভালো লেগেছে। দুই বন্ধুর গল্প। ওদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা বেশ ভালো।’

‘প্রজাপতি মন’ কেএস এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাচ্ছে। শার্লিন বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত সাড়া পেয়েছি। আমাদের দর্শক অনেক ভালো। কোনো বাজে মন্তব্য চোখে পড়েনি। আমি নিজের কাজ দেখি না। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির মানুষজন আয়োজন করে আমার অভিনীত নাটক দেখে। আমার হাজব্যান্ড মেসেজ করে জানায় তারা কী কী মন্তব্য করে।’ 

শার্লিন আরো বলেন, ‘আমি এখনো ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ দেখিনি। কিন্তু অন্যদের কাজ দেখি। ইদানীং সিনেমার যে পরিবর্তন হয়েছে তা খুবই ভালো লাগছে। ওটিটির কাজ আরো ভালো হওয়া উচিত। বাইরের কনটেন্টে ১৮০ থেকে ৩৬০ ডিগ্রিতে গল্প পরিবর্তন হয়ে যায়। আমাদের এখানে তেমন হয় না। টেনে টেনে চার পর্বকে সাত পর্ব করা হচ্ছে।’

বিরতি শেষে কাজ করতে এসে নিজের উপলব্ধির কথা জানালেন শার্লিন, ‘কাজের প্রস্তাবের জায়গা বদলে গেছে। বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড না হলে কাজ হচ্ছে না। দর্শকরা বাধ্য হয়ে এক জুটিকে বারবার দেখছে। আমি চাইলে এখানে জেঁকে বসতে পারতাম। তা করতে চাইনি। সময়ের সঙ্গে গতিশীল হতে হয়। একসময় মাসে ২৫ দিন কাজ করতাম। এখন সেটা করতে পারি না। সময়ের সঙ্গে জীবনে পরিবর্তন আসে। সংসার হয়। সন্তান হয়। অন্যদের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হয়।’ 

শার্লিন জানালেন, তার কাছে সিনেমার প্রস্তাব আসছে। তিনি ভেবে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তিনি বলেন, ‘যখন নিয়মিত কাজ করছিলাম, তখন কোনো লক্ষ্য ছিল না। প্রতিদিন শুটিংয়ে যেতাম। চিন্তা করে কাজ করতাম না। এখন আমার চাপ কম। প্রতিযোগিতা নেই। নিজের আনন্দের জন্য কাজ করব।’ 

প্রায় প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীর পছন্দের চরিত্র থাকে। শার্লিনেরও আছে। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাকে দর্শক শহুরে চরিত্রে দেখে এসেছে। গ্রামের চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছা আছে। আর নেতিবাচক চরিত্রে কেমন করি দেখতে চাই।’