
জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। ঈদে তার অভিনীত ‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। ঈদের দিন থেকে এখনো প্রতিদিনই সিনেমার প্রচারে আছেন তিনি। এর মধ্যে তার সিনেমার দর্শকও বাড়ছে বলে জানান ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ খ্যাত এই নায়িকা। সিনেমা ও সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সাম্প্রতিক দেশকালের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এন আই বুলবুল।
প্রথমবার বাণিজ্যিক সিনেমা দিয়ে ঈদে দর্শকের সামনে এলেন। সিনেমাটি থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
সিনেমাটি বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পায়নি। তাই একসঙ্গে অনেক দর্শক দেখার সুযোগ কম। এর মধ্যে প্রথমদিকে এই সিনেমার দর্শক কম ছিল। তবে এখন অনেকটা ভালো লাগছে। দিন দিন এই সিনেমার দর্শক বাড়ছে। অনেক দর্শক সিনেমাটি দেখে প্রশংসা করেছেন। সামাজিক মাধ্যমেও সিনেমাটির ভালো রিভিউ পাচ্ছি।
অন্যদের চেয়ে এবার সিনেমার প্রচারে আপনাকে বেশি দেখা যাচ্ছে...
আমি নিজের জন্যই নিয়মিত প্রচারে অংশ নিচ্ছি। সাধারণ দর্শককে আকর্ষণ করার জন্য যে ধরনের গান ও ভায়োলেন্স দরকার, সেটি এই সিনেমায় নেই। এ জন্য দর্শকদের সিনেমাটি দেখার জন্য আগ্রহী করতেই এই প্রচার চালাচ্ছি। এ ছাড়া ঈদে অন্য যে সিনেমাগুলো মুক্তি পেয়েছে, সেগুলো নায়কনির্ভর সিনেমা। আমার সিনেমাটি নারী গল্পেই নির্মিত হয়েছে। আমাদের এখানে নায়িকানির্ভর সিনেমার প্রতি দর্শকের আগ্রহ কিছুটা কম। তাই যখন নায়িকানির্ভর সিনেমার দিকেও দর্শকের সমান আগ্রহ থাকবে তখন হয়তো আর এত পরিশ্রম করতে হবে না।
ঈদে মুক্তি পাওয়া অন্য সিনেমার চেয়ে আপনার সিনেমাটির পার্থক্য কী?
‘এশা মার্ডার : কর্মফল’ সিনেমাটিতে কোনো ভায়োলেন্স নেই। কোনো আইটেম গান নেই। সত্যি বলতে, যে সিনেমায় ভায়োলেন্স থাকে, আইটেম সং থাকে, সেটার প্রমোশন অটো হয়ে যায়। এদিক থেকে এই সিনেমা পিছিয়ে আছে এবং গল্পই সিনেমার শক্তি।
শোবিজের সিনিয়র সহকর্মীদের কাছ থেকে সিনেমাটির জন্য কেমন প্রশংসা পাচ্ছেন?
আমি বাইরের মানুষের কাছ থেকে বেশি প্রশংসা পাচ্ছি। আমার ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমার সময়েও এমনটি হয়েছে। তবে এরই মধ্যে কাছের কিছু সহকর্মী আমার সিনেমাটি দেখেছেন। তাদের অনেকের প্রতিক্রিয়া ভালো ছিল।
ঈদেই দর্শক সিনেমা দেখছে বলে অনেকের মন্তব্য। আপনি কী বলবেন?
ঈদে ভালো সিনেমা হচ্ছে বলেই দর্শক সেগুলো দেখছে। আমি গেল কয়েক দিনে দেখছি, একই দর্শক বিভিন্ন সিনেমা দেখছে। দর্শক সিনেমা দেখতে চায়; কিন্তু আমরা তাদের ভালো সিনেমা দিতে পারছি না। আমি মনে করি, ঈদের পরেও যদি ভালো সিনেমা মুক্তি পায় এবং ভালোভাবে প্রচার করা হয়, তাহলে দর্শক সে সিনেমা দেখবে।
সিনেমায় কী পরিবর্তন জরুরি মনে করেন?
সিঙ্গেল স্ক্রিন বাড়াতে হবে। কারণ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার টিকিট কেটে সব শ্রেণির দর্শকের সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখার সক্ষমতা নেই। সমাজ ও রাষ্ট্র নিয়ে ভাবে এমন প্রযোজকরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে সিনেমা জগতে একটা দারুণ পরিবর্তন ঘটবে। গল্প ও উন্নত চিন্তাভাবনার অনেক নতুন পরিচালক এখন আছে। তাদের সুযোগ দিতে হবে।