
নতুনভাবে আসছে প্রয়াত ‘গুরু’ আজম খানের ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ড। আগস্টে এ ব্যান্ডের আনুষ্ঠানিক নতুন যাত্রার ঘোষণা আসবে। ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের নতুন এই যাত্রায় হাল ধরলেন পিয়ারু খান ও দুলাল; সঙ্গে আছেন তুহিন, খোকা, শিফার ও কোসেক। ১৯৭২ সালে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ড শুরুর পর ’৭৫-এ এসে আবার লাইন আপ পরিবর্তন হয়। এ ব্যান্ডের দ্বিতীয় যাত্রায় আসেন পিয়ারু খান ও দুলাল। তারা সে সময় ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের সঙ্গে দুই বছরের মতো ছিলেন বলে জানান পিয়ারু।
গেল ৫ জুন ছিল আজম খানের মৃতুবার্ষিকী। ২০১১ সালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ৬১ বছর বয়সে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলেন আজম খান। আন্দোলনকে বেগবান করতে ‘ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী’র সদস্য তরুণ আজম গণসংগীত গেয়ে পথে নামেন। তারপর শুরু হয় বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম। তাতে অংশ নেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তিনি ১৯৭২ সালে বন্ধুদের নিয়ে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ড গঠন করেন। সে বছরই বিটিভিতে প্রচারিত ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ ও ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। তবে বিভিন্ন কারণে ব্যান্ডটি বেশ কয়েকবার ভেঙে যায়। কিন্তু মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ড নিয়েই ছিলেন আজম খান। গুরুর মৃত্যুর পর গত কয়েক বছর ব্যান্ডটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে।
‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের নতুন এই যাত্রায় আজম খানের পরিবারের সম্মতি আছে বলে জানান পিয়ারু ও দুলাল। তারা বলেন, “আগস্টের মাঝামাঝিতে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। এ সময়ে আমরা প্র্যাকটিসের মধ্যে থাকব।”
আজম খানের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আজিমপুরে। তবে বেড়ে ওঠেন কমলাপুরে। স্কুলে পড়ার সময় পিটিতে সবার সঙ্গে গান গাইতেন। এসব গান মনেও রাখতে পারতেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে আজম খান বলেছিলেন, ‘আমি গান শুনে হুবহু গাইতে পারতাম। অনেকের কাছে এটা বিস্ময়কর ছিল।’ তার কণ্ঠে জনপ্রিয় হওয়া আরো কিছু গান হলো ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘হারিয়ে গেছে খুঁজে পাব না’, ‘অভিমানী’, ‘অনামিকা’, ‘পাপড়ি’, ‘জ্বালা জ্বালা’ ও ‘ও চাঁদ সুন্দর’।