তাসনুভা মোহনা
চলতি সময়ের ব্যস্ত উপস্থাপকদের মধ্যে অন্যতম তাসনুভা মোহনা। কিছুদিন ধরে তার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ‘নতুন কুঁড়ি’র সেটে তোলা স্থিরচিত্র প্রকাশিত হচ্ছে। তার কারণ প্রায় দুই দশক পর আয়োজিত এই রিয়েলিটি শোর সঞ্চালকদের একজন মোহনা। উপমহাদেশের প্রথম এই রিয়েলিটি শো উপস্থাপনার সুযোগ পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত তিনি।
তাসনুভা বলেন, “খুবই ভালো অভিজ্ঞতা হচ্ছে। ৯টি শাখায় প্রায় ৪০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্য থেকে শীর্ষ তিনজনকে বাছাই করা হয়েছে। এর আগে ম্যাজিক বাউলিয়ানার প্রাথমিক বাছাইপর্বের সঞ্চালনা করেছি। এবার নতুন কুঁড়ির আয়োজনকে শিক্ষা সফর বলতে পারেন। প্রতিদিন দেশের বরেণ্য শিল্পীদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। দুপুরে ও বিকেলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করছি। আনন্দে সময় কেটেছে। বিশেষ করে ‘ক’ শাখার ৬ থেকে ১১ বছরের বাচ্চাদের পারফরম্যান্স দেখে নিজেও আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম।”
তিনি আরো বলেন, ‘বিটিভি কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা দেখে মুগ্ধ হয়েছি। স্বজনপ্রীতির কোনো সুযোগ তারা রাখেনি। বিচারকরাও জানতেন না কী ফল হতে যাচ্ছে। কঠিন প্রতিযোগিতা হয়েছে। যাদের রেওয়াজ বেশি তারাই ভালো ফলাফল করেছে।’
নতুন কুঁড়ি নিয়ে সমালোচনাও শোনা যায় কান পাতলে। এ বিষয়ে মোহনার ভাষ্য, ‘প্রতিযোগীদের জন্য আলাদা মিউজিশিয়ান ও সংগীত পরিচালক রাখা হয়েছিল। তারা প্রতিযোগীদের শিখিয়ে মূল মঞ্চে নামিয়েছেন। বিচারকরাও মা-বাবা বাদে কথা বলতেন না। আমি অন্তত সমালোচনার মতো কিছু দেখিনি।’
নতুন কুঁড়ি বাদেও মোহনার ব্যস্ত সময় কাটছে অন্যান্য নিয়মিত শো সঞ্চালনায়। গ্লোবাল টেলিভিশনের ‘গ্লোবাল মিউজিক’ বেশ সাড়া ফেলেছে। আরো কাজ করছেন একুশে টিভি ও এটিএন বাংলায়। শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান ‘ব্যাকবেঞ্চার টডলার্স উইদ তাসনুভা’ সঞ্চালনা করেছেন শিক্ষার্থীদের নিয়ে। কথাবার্তা চলছে বিজ্ঞাপনচিত্র নিয়ে।
কালেভদ্রে অভিনয়ে দেখা মিলে মোহনার। তিনি এ প্রসঙ্গে হাসতে হাসতে বললেন, ‘উপস্থাপনার কাজে এত ব্যস্ত থাকি, অভিনয়ের মানুষজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠে না। তবে যদি ভালো চরিত্র পাই তাহলে কাজ করব।’
এদিকে মোহনা প্রায় সাত বছর ধরে লেখালেখি করছেন। তার বন্ধু-স্বজন ও অনুগামীরা তা জানেন। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘উপুড় করা দুপুর’। আসছে বইমেলায় প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তার গল্পগ্রন্থ। এ প্রসঙ্গে মোহনা বলেন, ‘ফেসবুকে কয়েকটি গল্প দেওয়ার পর ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। জামালপুরের আশেক মাহমুদ কলেজের সাবেক প্রিন্সিপাল মোজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী স্যারের অনুপ্রেরণায় বই প্রকাশে আগ্রহী হয়েছি। তা ছাড়া চলতি সময়ের কবি ও লেখকরাও বিভিন্ন সময়ে লেখার প্রশংসা করেছেন। একজন পাঠক বলেছেন, তিনি কলকাতার কবিদের পাশাপাশি আমার কবিতা পছন্দ করেন।’
