Logo
×

Follow Us

বিনোদন

বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ৫ চলচ্চিত্র

Icon

রিক্তা রিচি

প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২০, ১৫:৫৭

বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ৫ চলচ্চিত্র

চলচ্চিত্র শিল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। একটি দেশ, জাতি ও দেশের মানুষের জীবন কাহিনী অতি সুপষ্টভাবে ফুটে ওঠে চলচ্চিত্রে। জীবন ঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্র হাসতে শেখায়, কাঁদতে শেখায়। সেই সাথে দর্শকের রুচিবোধকে আরো উন্নত করে। 

দেশের চলচ্চিত্র শিল্প ঢালিউড নামে পরিচিত। ঢালিউড বিশ্বের ১১তম বৃহত্তম চলচ্চিত্র উৎপাদন কেন্দ্র। ঢাকার নবাব পরিবার বাংলাদেশে প্রথম চলচ্চিত্র প্রযোজনা করে। সর্বপ্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয় ১৯৫৬ সালে। ছবির নাম মুখ ও মুখোশ। 

এরপর একে একে অনেক সিনেমা নির্মিত হয়েছে। বেশ কিছু সিনেমা  সর্বাধিক ব্যবসাসফল হয়েছে। মূলত ১৯৭৩-১৯৮৩ সময়টা দেশের চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ ছিল। এরপর নব্বই দশকে সিনেমা ব্যবসা কিছুটা কমে গেলেও বেশ কিছু ভালোমানের ছবি নির্মিত হয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকালের পাঠকদের জন্য বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল পাঁচ চলচ্চিত্র সম্পর্কে তুলে ধরা হলো:

বেদের মেয়ে জোছনা


সর্বকালের সেরা ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র বেদের মেয়ে জোছনা। এটি তোজাম্মেল হক বকুল ১৯৮৯ সালে নির্মাণ করেন। এতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেন অঞ্জু ঘোষ ও ইলিয়াস কাঞ্চন। 

আব্বাস উল্লাহ শিকদারের প্রযোজনায় এতে আরো অভিনয় করেন প্রবীর মিত্র, রওশন জামিল, মিঠুন, দিলদার, শওকত আকবর প্রমূখ। 

বেদের মেয়ে জোসনা সিনেমার সংগীত পরিচালনা করেন আবু তাহের। এই চলচ্চিত্রে এগারোটি গান রয়েছে। এর মধ্যে দশটি গানের গীত রচনা করছেন ছবির পরিচালক তোজাম্মেল হক বকুল।

সেসময় বেদের মেয়ে জোসনা আমায় কথা দিয়েছে গানটি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। এছাড়া হাসান মতিউর রহমানের লেখা, মুজিব পরদেশীর কন্ঠে গাওয়া 'আমি বন্দি কারাগারে' গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। গানটি এখনো বেশ জনপ্রিয়।  

সে বছর সিনেমাটি এতোই জনপ্রিয় হয় যে ২০ কোটি টাকা আয় করে। 

স্বপ্নের ঠিকানা


বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে স্বপ্নের ঠিকানা ২য় সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র।এটি ১৯৯৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত রোমান্টিক চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেছেন এম এ খালেক। এই ছবিতে মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সালমান শাহ, শাবনূর, সোনিয়া, রাজীব, প্রবীর মিত্র, আবুল হায়াত ইত্যাদি।

এই ছবির গানগুলো সেসময় বেশ জনপ্রিয়তা পায়। গানগুলো হলো এইদিন সেইদিন কোনোদিন, নীল সমুদ্র পার হয়ে, ও সাথীরে, যেওনা কখনো দূরে। 

এই সিনেমাটি ঢালিউডের ২য় সর্বাধিক ১৯ কোটি টাকার ব্যবসা করে। 

সত্যের মৃত্যু নাই


সত্যের মৃত্যু নাই সিনেমাটি ১৯৯৬ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে মুক্তি পায়। এটি পরিচালনা করেছেন ছটকু আহমেদ এবং যৌথভাবে রচনা করেছেন ছটকু আহমেদ ও পানাউল্লাহ আহমেদ। 

সিনেমার শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছেন আলমগীর, শাবানা, সালমান শাহ, শাহনাজ, রাইসুল ইসলাম আসাদ ও রাজীব। 

এই চলচ্চিত্রের সংগীত  পরিচালনা করেছেন আলাউদ্দিন আলী। গীত রচনা করেছেন মাসুদ করিম। ঢালিউডের তৃতীয় ব্যবসাসফল এই ছবিটি ১১.৫০ কোটি টাকা আয় করে।

আম্মাজান


কাজী হায়াৎ পরিচালিত আম্মাজান ছবিটি ১৯৯৯ সালে মুক্তি পায়। নায়ক মান্নার দুর্দান্ত অভিনয়ের কারণে সেসময় ছবিটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ১১.০০ কোটি টাকা অ্যায় করে সিনেমাটি। ছবিটিকে এযাবতকালের চতুর্থ ব্যবসাসফল সিনেমা হিসেবে ধরা হয়।

ছবিটি প্রযোজনা করেছেন ও কাহিনী লিখেছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন কাজী হায়াৎ। এতে নাম ভূমিকায় (আম্মাজান) অভিনয় করেছেন শবনম। তার পুত্রের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মান্না। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌসুমী, আমিন খান, ডিপজল, মিজু আহমেদ প্রমুখ।

শান্ত কেন মাস্তান 


১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা শান্ত কেনো মাস্তান ৯০ লাখ টাকা বাজেটে নির্মিত হয়ে প্রায় ৮ কোটি টাকা আয় করে। এটি মূলত অপরাধধর্মী চলচ্চিত্র। ছবিটি পরিচালনা করেছেন মনতাজুর রহমান আকবর। আরমান প্রোডাকশনের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন আরমান। 

সিনেমাটি ১৯৯৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্র জিদ্দি (১৯৯৭)-এর পুনঃনির্মাণ, যা ১৯৯৮ সালে ধার্মা নামে তামিল ভাষায় পুনঃনির্মিত হয়। 

এ সিনেমাতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মান্না ও শাহনাজ। এছাড়াও সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজ্জাক, ডলি জহুর, হুমায়ুন ফরিদী, দিলদার,  মিশা সওদাগরসহ আরো অনেকে। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫