
তারিন জাহান।
তারিন জাহান এখনো চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকে সমান জনপ্রিয়। কালজয়ী বেশকিছু কাজেও দর্শকরা তাকে পেয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদে একাধিক নাটকে তাকে দেখা যাবে। গত ২৬ জুলাই এই গুণী অভিনেত্রীর জন্মদিন গেল। জন্মদিন উপলক্ষে মুঠোফোনে কথা হয় তার সঙ্গে।
কোনো আয়োজন ছিল না
জন্মদিন সবার কাছেই বিশেষ। প্রতিবারই এই দিনে কোনো না কোনো আয়োজনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তবে এবার সে রকম কোনো আয়োজন নেই। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে জন্মদিন পালনের থেকেও সুস্থ থাকাটা জরুরি। তবে জন্মদিন উপলক্ষে আজ কোনো শুটিং রাখিনি। পুরো দিনটি পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চাই।
ঈদে কাজের ব্যস্ততা অনেক ছিল
অন্য বছরের তুলনায় এবার কিছুটা বেশিই কাজ করেছি। আমি সাধারণত গল্প ও চরিত্র নিয়ে বেশ খুতখুতে। এবার মনের মতো কিছু গল্প ও চরিত্র পাওয়ায় অধিক কাজে আপত্তি ছিল না। এর মধ্যেÑ ‘সেদিন বৃষ্টি এসেছিল’, ‘মেঘলা মনের মেয়ে’, ‘বনে ভোজন’ ও ‘কথা শুনতে হবে’ শিরোনামে নাটকের কাজ শেষ করেছি।
প্রতিটি চরিত্রই ভিন্ন
ঈদের নাটকগুলো প্রতিটিই আলাদা। একটির সঙ্গে অন্যটির মিল খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিশেষ করে আমার চরিত্রগুলো একেকটি ভিন্ন ধাচের। একেক নাটকে একেক চরিত্র। এর জন্য আমি বিশেষত ধন্যবাদ দিতে চাই নাট্যরচয়িতা, পরিচালক, প্রযোজনা সংস্থাকে। তাছাড়া একজন অভিনেত্রী হিসেবেও আমি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করে আনন্দ পেয়েছি। যে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করতে আমি ভালোবাসি, কারণ অভিনয় আমার পেশা।
কল্পনাও করি না...
অভিনয়ের বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত আমি নিজে নেই। এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার অন্য কারও নেই। স্পষ্ট করেই বলতে চাই, ছোটবেলা থেকেই অভিনয় ও নাচের সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক। এ দুটিকে ছাড়া আমি অন্য কিছু কল্পনাও করি না। যখন বন্ধুদের সঙ্গে খেলার বয়স, সেই সময় থেকেই অভিনয় করে আসছি। সেই আমি অভিনয় কেন ছাড়ব।
অস্বীকার করা যাবে না
সময়ের পরিবর্তনকে অস্বীকার করা যাবে না। নতুনকে অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে- তবে পুরানোকে ফেলে দিয়ে নয়। পুরনো থেকে অর্জন করে নতুন নিয়ে এগোতে হবে। এখন ইউটিউব, ফেসবুকের যুগ। এসবকে মেনে নিতে হবে।