Logo
×

Follow Us

বিনোদন

সুদিনের অপেক্ষায় দেশের সংগীতাঙ্গন

Icon

মাহমুদ সালেহীন খান

প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২০, ১৩:২১

সুদিনের অপেক্ষায় দেশের সংগীতাঙ্গন

করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সংগীতাঙ্গনে স্থবিরতা বিরাজ করলেও, গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীরা গানের পাইরেসি এবং রয়েলটি নিয়ে একে অপরের সঙ্গে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। যা সংগীত অঙ্গনকে উত্তপ্ত করে তুলেছিলো।

তবে আশার কথা হলো কোরবানি ঈদকে ঘিরে বেশ কিছু মিউজিক ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেলে। যদিও ইউটিউবে গান প্রকাশ করে আগের মতো আর স্বস্তি পাচ্ছে না প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের অভিযোগ, এখন ইউটিউবে তেমন দর্শক নেই। এমনকি মুনাফাও উঠে আসে না। শিল্পীরা বলছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই দেশের সংগীতাঙ্গনে সুদিন ফিরে আসবে।

অনেক প্রযোজক নিজস্ব অ্যাপস তৈরি করে গান প্রকাশে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। অ্যাপসকে জনপ্রিয় করা, শ্রোতারা যাতে অ্যাপসে গান শুনতে আগ্রহী হন তার দিকেই দৃষ্টি এখন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর। গান এখন মিউজিক ভিডিও আকারে নয়, প্রথমেই প্রকাশ হচ্ছে অ্যাপসে। অ্যাপসে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন তারা। এবারের ঈদে প্রকাশিত নতুন গানগুলো প্রথমে শোনা যাবে অ্যাপসেই। এরপর ধারাবাহিকভাবে গানগুলো প্রকাশ হবে ইউটিউবে।

এবার ঈদে লেজার ভিশন প্রকাশ করছে বেলাল খানের কণ্ঠে ‘তোরে ভালোবাইসা বন্ধু’, কাজী শুভর ‘জিন্দা লাশ’, ইমরানের ‘আমার পাশে থেকো’, পারভেজ সাজ্জাদের ‘নূরে মাওলা’, তরিক মৃধার ‘দোজখ দোজখ লাগে’, রিংকুর ‘যাইয়ো দেখিয়া’, সালমার ‘প্রেমের জানাজা’।

জি-সিরিজ বের করেছে বাপ্পা মজুমদারের ‘জানতে চেও না’, আরমান আলিফের ‘বলো তুমি কি সুখী’, এফ এ সুমনের ‘বহুরূপী’ ও ‘ভিতর পোড়ায়’, কিশোর পলাশের নতুন গান ‘কেউ বলে পাগলা’, কাজী শুভর ‘এক জনমের ভুল’, তৌসিফের ‘চোখেতে মেঘ’, ঐশীর ‘মেঘের বাড়ি’, স্বরলিপির ‘মনের দেয়াল’, পুতুলের ‘ঝুম বৃষ্টি’ ও ‘কফির চুমুকে’, সাজুর ‘অভিমান’, বিউটির ‘যদি ভালো লাগে’ ও ‘পন্থ পানে চাহিয়া থাকি’, পারভেজ সাজ্জাদের ‘দুঃখদল’, কামরুজ্জামান রাব্বির ‘প্রেমে পোড়া’, শাওন গানওয়ালার ‘বৃষ্টি নিমন্ত্রণ’।

সিএমভি প্রকাশ করছে মিনার রহমানের ‘তোমার ভালো হোক’, ইমরানের কণ্ঠে ‘ঝড় এলে’, তানজীব সারোয়ারের ‘ভুল থেকে শিখেছি’, ন্যানসির ‘এমন একটা মন’, ঐশীর ‘খুঁজে ফিরি তাই’, বেলাল খানের ‘অচেনা’, মাহতিম সাকিবের ‘তুমি আর আগের মতো নেই’ ইত্যাদি।

ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকে প্রকাশ হচ্ছে আসিফ আকবর এবং মৌটুসীর দ্বৈত গান ‘তুমি এলে’, ইমন খানের ‘বেঈমান’, লুৎফর হাসানের ‘কার বালিশে ঘুমাও’, ইমরান-সুমনার ‘রাখিস আমার হাতটা ধরে’, পূজা ও রাজ বর্মনের ‘তোকে চাই’, মিলন ও বৃষ্টির দ্বৈত গান ‘প্রেম রোগ’, অংকনের ‘তৃষ্ণা’ ইত্যাদি।

গত মার্চ থেকে দেশ বিদেশের সব ধরনের কনসার্ট বন্ধ রয়েছে। এমনকি সিনেমার গানের রেকডিংও বন্ধ। এরকম পরিস্থিতিতে ঈদকে ঘিরে এতগুলো গান প্রকাশ হওয়াকে দেশের সংগীতাঙ্গনের সুবাতাস বলে মনে করছেন শিল্পীরা।

তবে করোনার এই পরিস্থিতিতে গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক, শিল্পীরা পড়েছেন ঘোর অনিশ্চয়তায়। এর মধ্যে সরকার এখন পর্যন্ত শিল্পী কিংবা সংগীত সংশ্লিষ্টদের জন্য কোনো প্রণোদনা ঘোষণা করেনি। অনেক শিল্পীই সরকারি প্রণোদনার কথা জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে ব্যান্ড সংগীত শিল্পী সাফিন আহমেদ বলেন, অনেক শিল্পী, মিউজিশিয়ান ও সংগীত সংশ্লিষ্টের অবস্থা এখন ভালো নেই। কারণ কাজ নেই কারো। এমন অবস্থায় সরকারি সহায়তা সংগীতাঙ্গনের জন্য খুবই দরকার। আমি বিশ্বাস করি সরকার অন্যান্য সেক্টরের জন্য যেমন প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, নিশ্চয়ই সংগীতাঙ্গনের জন্যও করবে। এই খারাপ পরিস্থিতি সব সময় থাকবে না। তবে এই কঠিন সময়ে সহযোগিতা খুব দরকার।

এ নিয়ে সময়ের জনপ্রিয় দিনাত জাহান মুন্নী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে সব বন্ধ হয়ে আছে। এই সময়টা ধৈর্য নিয়ে পার করতে হবে। আমি মনে করি আল্লাহর রহমতে এই অবস্থা থাকবে না। তবে এই পরিস্থিতিতে যেন আমরা গানের মানুষেরাই একে অপরের খোঁজ নেই। একে অপরের পাশে দাঁড়াই।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫