বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরশায়িত হবেন আলাউদ্দিন আলী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২০, ১৪:০২
বরেণ্য সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলীকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
আলাউদ্দিন আলীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শিল্পীর লাশ সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় খিলগাঁও তালতলা মোড়ে নুর-এ-বাগ জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে নেয়া হবে এফডিসিতে। সেখানে স্বজন-সুহৃদ ও শিল্পীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন বেলা ২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত।
সবশেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শেষ শয্যায় সমাহিত হবেন বাংলা গানের ভুবনের উজ্জ্বলতম জ্যোতিষ্ক আলাউদ্দিন আলী।
রবিবার (৯ আগস্ট) বিকাল ৫.৩০মিনিটে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী।
১৯৭৮ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত টানা তিনবার পুরস্কৃত হয়ে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। যে রেকর্ড আজও কেউ ভাঙতে পারেননি। আলাউদ্দিন আলী ১৯৭৫ সাল থেকে সঙ্গীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’ এবং ‘যোগাযোগ’ চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি এ পর্যন্ত ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
এছাড়া ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তার সুর করা গানের সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু গান : ১. একবার যদি কেউ ভালবাসতো ২. যে ছিলো দৃষ্টির সীমানায় ৩. প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ ৪. ভালোবাসা যতো বড় জীবন ততো বড় নয় ৫. হয় যদি বদনাম হোক আরো ৬. দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয় ৭. আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার ৮. সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরণী ৯. সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি ১০. পারি না ভুলে যেতে স্মৃতিরও মালা গেঁথে ১১. আমায় গেঁথে দাওনা মাগো একটা পলাশ ফুলের মালা ১২. জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো ইত্যাদি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৮ আগস্ট) ভোর পৌনে পাঁচটায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি হন। ওইদিন আলাউদ্দিন আলীর ছেলে শওকত আলী রানা গণমাধ্যম বলেন, শ্বাসকষ্টের তীব্র সমস্যা থাকায় চিকিৎসকরা লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।