
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও ক্যামিলা মরোন
প্রায় আড়াই বছর ধরে প্রেম করছেন টাইটানিক তারকা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ও ক্যামিলা মরোন। আর ক্যামিলাকে বিয়ে করে ব্যাচেলর জীবনের অবসান ঘটাতে যাচ্ছেন ডিক্যাপ্রিও।
জানা গেছে, ক্যামিলাকে ইতিমধ্যে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছেন ডিক্যাপ্রিও। ক্যামিলার পরিবারও এই প্রস্তাবে রাজি। এরই মধ্যে তারা সম্প্রতি বাগদান সেরেছেন- এমন খবরও শোনা যাচ্ছে।
তবে সহসা তারা বিয়ে করতে পারছেন না। করোনার কারণে বিয়ের তারিখও ঘোষণা করতে পারছেন না। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী বছর বিয়ে করতে পারেন এই জুটি। অথবা তার আগেই কাছের বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সাদামাটা আয়োজনে বিয়ে করতে পারেন তারা।
এর আগে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার পর ডিক্যাপ্রিও ও ক্যামিলা একসাথেই কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। ক্যামিলা সম্প্রতি তার মায়ের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তখন তার হাতে বাগদানের আংটি দেখা গেছে।
৪৩ বছর বয়সি এই অভিনেতার সঙ্গে ২১ বছর বয়সি মডেল-অভিনেত্রী ক্যামিলার বিয়ের বিষয়টি অবশ্য এখনো নিশ্চিত করা হয়নি কোনো পক্ষ থেকেই। তবে ভক্তরা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর দীর্ঘ ব্যাচেলর জীবনের অবসান চাইছেন দ্রুত।
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর কর্মজীবন শুরু হয় মাত্র ৫ বছর বয়সে। সেসময় তিনি কয়েকটি বিজ্ঞাপন চিত্র ও শিক্ষামূলক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সুযোগ পেয়েছিলেন রম্পার রুম নামের একটি টেলিভিশন ধারাবাহিকেও; কিন্তু সেটে ভাংচুর করার জন্য তাকে সেই নাটক থেকে বাদ দেয়া হয়। পরিচালক হয়তো সেদিন বুঝতে পারেননি যে ছেলেটিকে বাদ দেয়া হলো, সেই ছেলেটিই সময়ের পরিক্রমায় অসাধারণ অভিনয় শৈলী দিয়ে হয়ে উঠবেন হলিউডের বিগ শট দ্য লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।
১৯৯০ সালের কথা। পেরেন্টহুড নামের চলচ্চিত্র অবলম্বনে একই নামের মিনি ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন। এরপর কয়েকটি ধারাবাহিকে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করতে করতে পরের বছর কমেডি বিজ্ঞান কল্পকাহিনিনির্ভর চলচ্চিত্র ক্রিটারস ৩-এর মধ্যদিয়ে বড় পর্দায় হাজির হন। যেখানে একজন ভূস্বামীর সৎ ছেলের চরিত্রে দেখা যায় তাকে। তবে বড় সুযোগ আসে ১৯৯২ সালে ‘দিস বয়স’ লাইফের জন্য যখন ডাক পান। মোট ৪০০ শিশু শিল্পীর মধ্যে থেকে রবার্ট ডি নিরো নিজে বাছাই করেন তাকে। এরপর তিনি কাজ করেন হোয়াট’স ইটিং গিলবার্ট গ্রেপ চলচ্চিত্রে। যেখানে তাকে অভিনয় করতে দেখা যায় জনি ডেপের মানসিক বিকারগ্রস্ত ছোট ভাই আর্নি গ্রেপ নাম ভূমিকায়। পরিচালক যদিও এই চরিত্রের জন্য প্রথমে ভেবেছিলেন দেখতে একটু অসুন্দর কাউকে নিয়েই কাজ করবেন; কিন্তু অডিশন দিতে আসা সবার মধ্যে থেকে একমাত্র লিওনার্দোর অভিনয়ই আকৃষ্ট করে তাকে।
তার মূলধারার সাফল্য আসে উইলিয়াম শেকসপিয়র রচিত জনপ্রিয় নাটক রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েটের আধুনিক চিত্রনাট্যে ১৯৯৬ সালে নির্মিত রোমিও প্লাস জুলিয়েট চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর। এরপর ২০১০ সালের পূর্ব পর্যন্ত হলিউডের সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্রের তালিকায় নাম লেখানো টাইটানিকের কথা আমাদের সবারই জানা!
অথচ ১৯৯৭ সালে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে জ্যাক ডসনের চরিত্রে অভিনয় করতে প্রথমে রাজিই ছিলেন না ২০ বছর বয়সী এই অভিনেতা; কিন্তু পরিচালক জেমস ক্যামেরন লিওনার্দোর অভিনয়ের প্রতি এতটাই আস্থাশীল ছিলেন যে শেষ পর্যন্ত রাজি করিয়েই ছাড়েন তাকে। আর মুক্তির পর সেই চলচ্চিত্র ১.৮৪৩ বিলিয়ন অর্থ আয় করে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। অচিরেই লিও বনে যান বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের সুপারস্টার।