
বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা, বাংলার নায়ক রাজ রাজ্জাকের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট ৭৫ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি কলকাতার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পুরো নাম আব্দুর রাজ্জাক। তার অভিনয় জীবনের শুরু হয় কলকাতার থিয়েটারে অভিনয় করার মাধ্যমে। সিনেমার নায়ক হওয়ার অদম্য স্বপ্ন ও ইচ্ছা নিয়ে রাজ্জাক ১৯৫৯ সালে ভারতের মুম্বাইয়ের ফিল্মালয়তে সিনেমার ওপর পড়াশুনা ও ডিপ্লোমা করেন।
ষাটের দশকে সালাউদ্দিন পরিচালিত হাসির সিনেমা ‘তেরো নম্বর ফেকু ওস্তাগার লেন’-এ একটি পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে রাজ্জাক ঢাকায় তার অভিনয় জীবনের সূচনা করেন। এরপর প্রতিভাবান পরিচালক জহির রায়হান তার ‘বেহুলা’ সিনেমাতে রাজ্জাককে লখিন্দরের ভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ করে দেন। ‘বেহুলা’ সিনেমাতে সুচন্দার বিপরীতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি রাজ্জাককে।
’৭০ ও ’৮০-এর দশকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠেন রাজ্জাক-অভিনয় করেন তিনশর বেশি চলচ্চিত্রের নায়কের ভূমিকায়। রাজ্জাক অভিনীত জননন্দিত সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘নীল আকাশের নীচে, ময়নামতি, মধু মিলন, পীচ ঢালা পথ, যে আগুনে পুড়ি, জীবন থেকে নেয়া, কী যে করি, অবুঝ মন, রংবাজ, বেঈমান, আলোর মিছিল, অশিক্ষিত, অনন্ত প্রেম, বাদী থেকে বেগম।
দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য অভিনয় জীবনে রাজ্জাক-সুচন্দা, রাজ্জাক-কবরী ও রাজ্জাক-শাবানা ও রাজ্জাক-ববিতার অনেক সিনেমা দর্শক হৃদয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে; যা রাজ্জাককে ঢালিউডের নায়করাজ উপাধিতে ভূষিত করেছে। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার।