মহাভারতের কথা তো অনেকেই জানেন। তবে সে কাহিনি যেন বরাবর দেখানো হয়েছে পুরুষের চোখ দিয়ে। কিন্তু দ্রৌপদী যদি সে গল্প বলেন! এমনটাই করতে চান দীপিকা পাড়ুকোন।

বলিউডি পর্দায় দৌপদীর মুখ দিয়েই মহাভারতের কথা শোনাবেন দীপিকা। মূল চরিত্রে তো থাকছেনই। সেই সঙ্গে প্রযোজনার দায়িত্বও নিজেই সামলাবেন। দীপিকা নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। সঙ্গে পেয়েছেন মধু মন্টেনার সাহায্য। 

ফিল্মের পরিচালনায় কে থাকবেন, তা যদিও এখনও ঠিক হয়নি। এই প্রজেক্ট নিয়ে দীপিকা নিজে খুবই উৎসাহিত। তাঁর কথায়, `দ্রৌপদীর রোল করতে পারব, তা ভেবেই থ্রিলড। সেই সঙ্গে সম্মানিতও বোধ করছি। একটা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই গল্প বলা হবে, সেটাই বেশ ইন্টারেস্টিং, সেই সঙ্গে তাৎপর্যপূর্ণ তো বটেই।'

দীপিকার মতো মহাভারতের ফিল্মি অবতার নিয়ে কম উৎসাহ নেই মধু মন্টেনার। দীপিকাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তিনি বলেছেন, ‘দীপিকা শুধুমাত্র দেশের সবচেয়ে বড় স্টারই নন। যে কোনো ন্যারেটিভকে অন্য লেভেলে নিয়ে যেতে পারেন। আর দীপিকা না থাকলে এ ফিল্মটা তৈরিই হতো না।’

প্রযোজক হিসেবে এটাই দীপিকার দ্বিতীয় প্রজেক্ট। ইতোমধ্যেই মেঘনা গুলজারের ফিল্ম ‘ছপক’-এ প্রযোজকের চেয়ারে বসেছেন। অ্যাসিড হামলার আতঙ্ক কাটিয়ে লক্ষ্মী আগরওয়ালের লড়াকু জীবনের গল্প বলতে বড় পর্দায় দীপিকা দেখা যাবে। 

এরপর ‘৮৩’-তে ক্যামিয়ো রোলে। কপিল দেবের স্ত্রী রোমিলা ভাটিয়া হিসাবে। সে সবের মাঝেই নিজের পরের প্রজেক্টের কথা বললেন দীপিকা। এটাকে শুধুমাত্র প্রজেক্ট হিসাবে দেখছেন না তিনি। নিজের কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় রোলও বলেছেন।

কত দিন অপেক্ষা করতে হবে দ্রৌপদীর জন্য? দীপিকা জানিয়েছে, সব ঠিকঠাক থাকলে এই ফিল্মের প্রথম পর্ব দেখা যেতে আগামী বছরের দেওয়ালিতে।