
বাহুবলীখ্যাত প্রভাসের বয়স এখন ৪১। বিয়ের নামও নেই মুখে। তাই তাকে লোকে দক্ষিণের সালমান বলছেন। অনেকেই বলছেন, প্রভাস ভারতের সেকেন্ড মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর। বেশ কয়েক বছর ধরেই গুঞ্জন, সহকর্মী দক্ষিণের আরেক জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শেঠিকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন প্রভাস। কিন্তু তা আর হলো কই?
১৫ বছর ধরে দুজনের বন্ধুত্ব। এটাকে গভীর প্রেম বলে ভাবেন এ দুই তারকার ভক্ত-অনুরাগীরা। দুজনকে ঘিরে গণমাধ্যমেও অনেক কথা চাউর। তারা নাকি চুটিয়ে প্রেম করছেন, শিগগিরই বন্ধনে আবদ্ধ হবেন, এমন খবরও প্রকাশ হয়েছে। তবে সব খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন দুজনেই।
এ বিষয়ে প্রভাস বলছেন, লোকে আমাদের জুটিটা উপভোগ করে। তাই অমনটা বলে আনন্দ পায়। আনুশকার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সিনেমা করেছি। বাস্তবে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছাড়া আর কিছু নেই।
আনুশকার ভাষ্য, আমার আর প্রভাসের ১৫ বছরের বন্ধুত্ব। প্রভাসকে আমি রাত তিনটায়ও ফোন করতে পারি। ও আমার ‘থ্রি এএম ফ্রেন্ড’।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রেম বিষয়টা প্রভাসের পরিবারে অগ্রহণযোগ্য। আর প্রেম করে বিয়ে তো কল্পনাই করা যায় না। গুরুজনের সম্মতিতেই নাকি সঙ্গী বেছে নেয়া তাদের রেওয়াজ।
প্রভাসের পরিবার খুবই রক্ষণশীল। প্রথমত, তার মা শিবা কুমারী কড়া শাসনে তাদের তিন ভাই-বোনকে লালন করেছেন। দ্বিতীয়ত, কোনো নায়িকাকে ঘরের বউ করে আনবেন তার মা। তিনি পুরোদস্তুর গৃহিণী খুঁজছেন। প্রভাসও মায়ের অমতে বিয়ে করবেন না। এতো সব কারণেই আনুশকাকে বিয়ে করতে পারছেন না প্রভাস।
তবে প্রভাসের জন্য পাত্রী দেখা থেমে নেই। ‘সাহো’ সিনেমার প্রচারণায় কাপিল শর্মার শোতে বলা হয়েছিল, প্রভাসের বিয়ের জন্য নাকি ৫ হাজার প্রস্তাব জমা পড়েছে। তবে প্রভাস বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন।