
‘ধড়’ সিনেমার একটি দৃশ্য
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রজেকশন হলে শনিবার (২০ মার্চ) বিকালে হয়ে গেল ‘ধড়’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনী।
বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ গবেষক, লেখক আফসান চৌধুরীর ছোটগল্প অনুসারে আকা রেজা গালিব নির্মাণ করেন স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটি।
মুক্তিযুদ্ধকালীন ভয়াবহ ও বর্বোরোচিত একটি ঘটনার প্রেক্ষাপটে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনীতে চলচ্চিত্র নির্মাতা, কলাকুশলীসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ প্রদর্শনী উপলক্ষে ভিডিও বার্তা দেন লেখক আফসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, “আমার ছোটগল্প নিয়ে গত দশ-পনেরো বছরে বেশ কয়েকজন নির্মাতা উৎসাহ দেখিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাণের। সর্বশেষ বছর তিনেক আগে আকা রেজা গালিব ‘ধড়’ গল্পটি নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুমতি চেয়েছে। আমি সন্দিহান ছিলাম; কিন্তু গালিব গল্পটি চলচ্চিত্রে রূপদান করেছে। এজন্য আমি তার এবং তার সহধর্মিনী মেহজাদ গালিব টুম্পার প্রতি কৃতজ্ঞ।”
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যে একাত্তরটা দেখেছি, সাধারণ মানুষের একাত্তর- সেই অভিজ্ঞতাটাই আমার গল্পে এসেছে। খুব তীব্র এবং অনেকটা অ্যাবসার্ড গল্প এটি।’
নির্মাতা আকা রেজা গালিব বলেন, “সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ধড়’ নির্মাণে সবার পরিশ্রম আর সহযোগিতা তো ছিলই। কিন্তু আমি মনে করে, এই চলচ্চিত্রটির মূল শক্তি গল্প। গল্পটাই সিনেমাটিকে দাঁড় করিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘আফসান চৌধুরীকে গবেষক কিংবা সাংবাদিক হিসেবেই সবাই চেনেন; কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি গল্পকার হিসেবে বাংলা সাহিত্যে তিনি আন্ডাররেটেড। তার প্রায় সব গল্পই অত্যন্ত শক্তিশালী।’
২৫ মিনিট ব্যাপ্তির এই স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটির বিশেষ প্রদর্শনীর আগে ফিল্ম আর্কাইভের মিলনায়তনে নির্মাতা তার সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ সকল কলাকুশলীদের পরিচয় করিয়ে দেন। সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছে লুসি তৃপ্তি গোমেজ, আশীষ খন্দকার ও দীপক সুমন।