
ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব (ডিআইএমএফএফ) এর অষ্টম আসরের জন্য চলচ্চিত্র জমা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট, কম্পিটিশন এবং ওয়ান মিনিট এই তিনটি ক্যাটাগরিতে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের চলচ্চিত্র উৎসব।
শনিবার (৩ এপ্রিল) আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্র জমা কার্যক্রম শুরু হয়।
উৎসবটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে “আন্ডারস্ট্যান্ডিং মোটিভেশনস টু ইউজ মোবাইল ফিল্মমেকিং ইন দি মেইনস্ট্রিম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি" এর উপর প্যানেল আলোচনা আয়োজন করা হয়। প্যানেল বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞ ও সমালোচক সাদিয়া খালিদ রীতি ও নির্মাতা আনাম বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মিডিয়া স্টাডিজ এন্ড জার্নালিজম বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জুড উইলিয়াম হেনিলো। তিনি বলেন, “মুঠোফোনের মাধ্যমে একটি চলচ্চিত্রের গল্প বলা এখন অনেক সহজ। তাই আগামী বছর আমরা আরো ভালো চলচ্চিত্র পাবো বলে আশা করছি। ডিভাইসের উন্নত ক্ষমতার সাহায্যে গল্প বলার নতুন উপায় নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলচ্চিত্র নির্মাতারা আমাদের অবাক করে দেবেন প্রত্যাশা করি। হয়তো বা মোবাইল ফিল্মমেকিং ভবিষ্যতে আরো সুপরিচিত হয়ে উঠবে।
নতুন প্রজন্ম,নতুন প্রযুক্তি ও নতুন যোগাযোগ এই শিরোনামে ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের যাত্রা শুরু হয় ২০১৫ সালে। এর আয়োজনে রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)।
ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের অষ্টম আসর বসবে ২০২২ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি।
চলচ্চিত্র জমা দেয়ার নিয়মাবলি:
‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট’ বিভাগের জন্য যে কেউ পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে চলচ্চিত্র জমা দিতে পারবেন। এ বিভাগের চলচ্চিত্র যেকোনো দৈর্ঘ্যের হতে পারবে।
‘কম্পিটিশন’ বিভাগের জন্য শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা চলচ্চিত্র জমা দিতে পারবেন; এ বিভাগের জন্য চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ১০ মিনিট।
প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ‘ওয়ান মিনিট’ বিভাগের জন্য চলচ্চিত্র জমা দিতে পারবেন এবং এই বিভাগের সেরা চলচ্চিত্রটি পাবে ‘ইউল্যাব ইয়াং ফিল্ম মেকার অ্যাওয়ার্ড’। এ বিভাগের চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ হতে পারবে সর্বোচ্চ ১ মিনিট ।
টাইটেল ও ক্রেডিট লাইন মিলিয়ে চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্য হতে হবে। প্রত্যেক প্রতিযোগী সর্বোচ্চ ২টি চলচ্চিত্র জমা দিতে পারবেন। প্রত্যেকটি চলচ্চিত্রের সাথে ইংরেজি সাব-টাইটেল যুক্ত থাকা বাধ্যতামূলক।