
মিতা হক
বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হক আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। আজ রবিবার (১১ এপ্রিল) ৬টা ২০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিতা হকের জামাতা অভিনেতা মুস্তাফিজ শাহিন।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে মিতা হককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চারদিন আগে তার করোনা নেগেটিভ হলে বাসায় নেয়া হয়। হঠাৎ আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজই কেরানীগঞ্জে তাকে তার মা-বাবার কবরের পাশে শায়িত করা হবে। এর আগে বেলা ১১টায় শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ছায়ানটে নেয়া হবে মরদেহ।
মিতা হক দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি ডায়ালাইসিস করাচ্ছিলেন। শনিবার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে বাংলাদেশ স্পেশিয়ালাইজড হাসপাতালে নেয়া হয়। সকালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৯৬২ সালে জন্মগ্রহণ করেন মিতা হক। তিনি প্রথমে তার চাচা ওয়াহিদুল হক ও পরে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খান ও সনজীদা খাতুনের কাছে গান শেখেন। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শেখা শুরু করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে নিয়মিত তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারে সংগীত পরিবেশনা করতেন।
২০২০ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। মিতা হক ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। এরপর কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মিতা হককে বাংলা একাডেমির রবীন্দ্র পুরস্কার দেয়া হয়।
সংগীতশিল্পী মিতা হক অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। মেয়ে ফারহীন খান জয়ীতাও রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী।