
ফরিদ আহমেদ
সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর নগরীর স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ফরিদ আহমেদের মেয়ে দূর্দানা ফরিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল দুপুর থেকেই বাবার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। ডাক্তাররা চেষ্টা করেও তাকে আর বাঁচাতে পারলেন না। আজ সকাল ৯টা ৮ মিনিটে ডাক্তার আমাদের ফোন করে জানান বাবা আর নেই।’
গত মার্চের শেষ সপ্তাহে সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হন ফরিদ। অবস্থার অবনতি হলে ২৫ মার্চ রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
এরমধ্যে তার স্ত্রী শিউলি আক্তারের অবস্থা ভালো হলেও ফরিদের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। ১১ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ফরিদ আহমেদকে নগরীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
সুর করার ক্ষেত্রে ফরিদ আহমেদকে উৎসাহ দিতেন কুমার বিশ্বজিৎ। যে কারণে ফরিদ তার গানেরই প্রথম সুর করেন। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত বহু গানের সুর করেছেন তিনি। করেছেন সংগীতায়োজনও।
ফরিদ আহমেদের করা গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য-‘ইত্যাদি’র টাইটেল সং ‘কেউ কেউ অবিরাম চুপি’, কুমার বিশ্বজিতের ‘মনেরই রাগ অনুরাগ’,‘ আমি তোরই সাথে ভাসতে পারি মরণ খেয়ায় একসাথে’, রুনা লায়লার গাওয়া ‘ফেরারী সাইরেন’, রুনা সাবিনার কন্ঠে ‘দলছুট প্রজাপতি’, চ্যানেল আইয়ে ‘আজ জন্মদিন’, ক্ষুদে গান রাজ’র ‘থিম সং’, ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’র থিম সং, সেরা কণ্ঠ’র থিম সং প্রভৃতি।
অনেক নাটক, টেলিফিল্ম সিনেমার জন্য গান বানিয়েও সফল হয়েছেন ফরিদ।