
প্রীতম হাসান
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ছিলেন খালিদ হাসান মিলু। তার মৃত্যুর পর ছোট ছেলে প্রীতম হাসান এখন গান করছেন। বাবা দিবসকে ঘিরে প্রীতমের অনুভূতি জানতে চাওয়া হয়েছিলো।
মোবাইল ফোনেই তিনি কথা বলেছেন সাম্প্রতিক দেশকালের প্রতিবেদকের সাথে।
কেমন আছেন?
আজকে মনটা ভীষণ খারাপ।
কেন?
বাবাকে খুব মনে পড়ছে। আমি প্রতিটি মূহুর্ত বাবাকে খুব মিস করি।
বাবার সাথে আনন্দ-বেদনার স্মৃতি
আমি আব্বুকে বেশি সময়ের জন্য পাইনি। তেমন বলার মতো স্মৃতি নেই। যতটুকু কাছে পেয়েছি আব্বু সবসময় আদর করতেন আমাকে। আমাকে ক্যালেন্ডার দিয়ে বলেছিলেন, তোমাকে কেউ যদি বকা দেয় তাহলে এখানে লিখে রাখবা। স্কুলে একবার ম্যাডাম আমাকে চড় মেরেছিলেন। বাবা স্কুলে গিয়ে ম্যাডামকে বললেন, আপনি কি আমার ছেলেকে মেরেছেন? ম্যাডাম ‘হ্যাঁ’ বলেছিলেন। বাবা তাকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়ে সে স্কুল থেকে আমাকে নিয়ে চলে এসেছিলেন। পরে আর সেখানে যেতে হয়নি। তার হয়তো মনে হয়েছিল, উনার কাছ থেকে ভালো কিছু ছাত্ররা শিখতে পারে না।
বাবাকে নিয়ে কোনো অভিযোগ?
বাবা আর কটা দিন বেঁচে থাকলে কী দোষ হতো। আমার মাঝে মাঝে সৃষ্টিকর্তার ওপর খুব অভিমান হয়। বাবা নামটা শ্রদ্ধার কিন্তু, এটা বন্ধুত্বেরও হতে পারতো। হয়তো বাবা আমার বন্ধু হতেন। আমরা দুই ভাই যা করছি তিনি দেখে হয়তো খুশি হতেন। বাবা তুমি চলে গেলে কেন?
বাবার কারণে আপনি সংগীতাঙ্গনে জনপ্রিয় হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিলো?
আমি খালিদ হাসান মিলুর ছেলে, এটা আমার অহংকার। বাবা বেঁচে থাকলেও হয়তো আমি একটা সময় গানেই ক্যারিয়ার করতাম। আমাকে সবাই বাবার নাম ধরেই পরিচয় করিয়ে দিতেন। পরে ‘ইত্যাদি’র কারণে এটি আরো পরিচিতি পায়। বাবার উত্তরসূরি হিসেবে আমি চেষ্টা করছি ভালো কিছু করার। এটা ছোট হওয়ার বিষয় নয় বরং গর্বের। এখন অনেকেই আমাকে বলেন, যোগ্য বাবার সন্তান। বিষয়টি শুনতে খুব ভালো লাগে।
বাবা দিবসে আপনার অনুভূতি?
বাবা দিবস কেন আমি প্রতিটি মূহুর্ত বাবাকে মিস করি। বাবার অনুপস্থিতি আমাদের মা পূরণ করার চেষ্টা করেন। যাদের বাবা নেই, তারা জানেন বাবা আসলে কী! এটা বলে বোঝানো যাবে না। বাবাকে বলতে চাই, ‘ দেখো তোমাকে ছাড়াই তোমার সন্তান এতদূর আসতে পেরেছে, এতে তুমি নিশ্চয়ই গর্বিত। বাবা, হ্যাপি ফাদারস ডে।’