
ফাইল ছবি
জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায় হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্মলাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এর প্রভাব, স্বীকৃতি, সম্মান তথা বিজয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
মুক্তিযুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের পাশে এসে দাঁড়ানোর অসাধারণ একটি উদ্যোগের নাম ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’। নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই ঐতিহাসিক কনসার্ট। জর্জ হ্যারিসন ও ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশঙ্করের উদ্দোগ্যে আয়োজন করা হয়েছিল কনসার্টটি। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের সহায়তার জন্য দেশের বাইরে অনুষ্ঠিত প্রথম কনসার্ট।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পাশপাশি ২০২১ সাল সেই কনসার্টেরও সুবর্ণজয়ন্তীর বছর। কনসার্টের ৫০ বছর পূর্তিতে নিউইয়র্কে আয়োজন করা হয়েছে একটি উৎসব। ৩১ জুলাই, শনিবার বিকেলে জ্যাকসন হাইটসের জুইশ সেন্টারে ‘ফ্রেন্ডস অব ফ্রিডম’ নামে একটি সংগঠন এই উৎসবের আয়োজন করেছে।
সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক শামীম আল আমিন জানিয়েছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অংসখ্য বিবেকবান মানুষ বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কাজ করে আসছে ফ্রেন্ডস অব ফ্রিডম। তারই অংশ হিসেবে এবার দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশয়ের ৫০ বছর পূর্তির এই আয়োজনটি করা হয়েছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর এই বছরে গৌরবজনক অনেক অধ্যায়ও ৫০ স্পর্শ করছে। এটি ইতিহাসের অসাধারণ একটি মাইলফলকের বছর’।
উৎসবটি পালনের জন্য ব্যপক প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানান তিনি।
জানা গেছে, উৎসবে দেশের গান, প্রিমিয়ার শো, প্রামাণ্য চিত্র ও দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনসহ নানা আয়োজন থাকছে। সে সময় যারা সরাসরি কনসার্টটি দেখেছেন তাদের সাক্ষাৎকারও থাকছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহীদুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু, ‘মুক্তির গান’ চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রাহক ও আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা লিয়ার লেভিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আরো থাকবেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, লেখক ও কমিউনিটির বিশিষ্টজনদের অনেকে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানটি কেবল আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য। করোনা মহামারির কারণে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।