
শিল্পী ফকির আলমগীর। ফাইল ছবি
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রখ্যাত গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীর বেঁচে আছেন। গতকাল শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাত ১১টার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে বিষয়টি নিতান্তই গুজব বলে নিশ্চিত করেছেন শিল্পীর মেজো ছেলো মাসুক আলমগীর রাজীব।
তিনি রাত সোয়া ১২টার দিকে জানান, ‘আমার বাবা আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। ওনার যে প্লাজমা দরকার তা পাওয়া গেছে। আইসিইউতে থাকলেও চেতনা আছে। হাঁটাচলাও করতে পারছেন। নিজেই হেঁটে বাথরুমে গিয়েছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাবাকে দেখছি অনেক শক্ত মনোবলের। তার শারীরিক ও মানসিক শক্তি দেখে অবাক হচ্ছি। অক্সিজেনটা খুলে নিলে একটু সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া ভালো আছেন। সবাইকে অনুরোধ করছি মিথ্যা কিছু ছড়াবেন না, গুজব ছড়াবেন না।’
ফকির আলমগীর ইউনাইটেড হাসপাতালে কোভিড ইউনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তাকে বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফকির আলমগীর বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী। গণসংগীত ও দেশীয় পপসংগীতে তার রয়েছে ব্যাপক অবদান। তিনি ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা।
জগন্নাথ কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ পাস করেন তিনি। ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপের সদস্য হিসেবে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সংগীত বলয়ে প্রবেশ করেন। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী একজন শব্দসৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন।
১৯৯৯ সালে সংগীতে একুশে পদক পান তিনি।