নায়িকাদের মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়ার নেপথ্যে

মাহমুদ সালেহীন খান
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২১, ১১:১৫

পিয়াসা, মৌ ও একা। ফাইল ছবি
নায়িকাদের বাসায় মদের বার, মাদকদ্রব্য রাখার অভিযোগ ওঠছে। এটি গত এক দশক আগেও প্রকাশ্যে ছিলো না। আলোচিত নায়িকা পরিমনির বাসায় মদের বার পাওয়া গেছে।
রাতের বেলায় মদের বারে যাওয়া, ছবির নামে মিটিং করা এখন স্বাভাবিক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের কাছে। সম্প্রতি মডেল পিয়াসা, মৌ ও নায়িকা একার বাসাতেও মাদকদ্রব্য পাওয়া গেছে র্যাবের অভিযানে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, এরকম ১০০ জনের নামের তালিকা তাদের কাছে রয়েছে। এক এক করে সবাইকে গ্রেফতার করা হবে।
নায়িকাদের মাদকের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র ও মিডিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের গুণী অভিনেত্রীরাও এই বিষয়টিকে ধিক্কার জানিয়ে বলেছেন, এদের জন্য আমরা যারা ভালো কাজ করি তাদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
চলচ্চিত্র পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর সাথে এ প্রসঙ্গে কথা বললে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটি আমাদের জন্য খুব দুঃখজনক বিষয়। পরিমণি ও একার বাসায় মাদক দ্রব্যাদি পাওয়া গেছে। এখন তো আমার মনে হচ্ছে র্যাব অভিযান করলে বেশিরভাগ নায়িকাদের বাসায় এ জাতীয় জিনিস পাওয়া যাবে।
গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল একা, পিয়াসা ও মৌকে মাদকসহ গ্রেফতারের বিষয়টি। সবাই একটি প্রশ্ন রাখছেন- পরবর্তী কোন নায়িকার বাসায় মাদক পাওয়া যাবে?
বিষয়টি নিয়ে বিব্রত নতুন প্রজন্মের গুণী অভিনেত্রীরা। এ সময়ের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী দোলন দে জানালেন, এসব তৃতীয় শ্রেণীর নায়িকারা আমাদের ক্যারিয়ারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে আমাদেরকেও সন্দেহের চোখে দেখছে। বিষয়টি নিয়ে খুব বিব্রত আমরা। সবার বোঝা উচিত আমার মতো যারা ভালো কাজ করছেন, তারা কিন্তু মিডিয়াতে কাজের প্রতি ভালো লাগা ও সম্মানের জায়গা থেকেই কাজ করছেন। কোনো কিছুর বিনিময়ে নয়।
ঢাকাই সিনেমার সিনিয়র নায়িকা চম্পা বলেন, নায়িকারা হবেন আদর্শ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকাল নায়িকারা যেসব কাজ করছে, তারজন্য আমরাও বিব্রত। নায়িকাদের অভিনয়ে কিভাবে সমৃদ্ধ হবে এটি নিয়ে ব্যস্ত থাকা উচিত। অথচ প্রযোজক ধরার নামে নায়িকারা বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ প্রযোজক পরিচালকদের কাছে দেহ বিলিয়ে দিচ্ছে। আবার নেশায় জাতীয় দ্রব্য ব্যবসার সাথেও জড়িয়ে পড়ছে। আমারও প্রশ্ন আসলে কেন?
নাজমুল হাসান নামে একজন তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, এক শ্রেণীর অসাধু চক্র মডেল-নায়িকা বানানোর নামে নামসর্বস্বধারীদের নিয়ে দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসা করে থাকেন। শোবিজটা তাদের কাছে সাইনবোর্ড। এরা মিডিয়াটাকে নষ্ট করছে।