
অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, ব্রাড পিট, এডিলি, দীপিকা পাড়ুকোন, সালমান খান, শেনন ডোর্টি, কিম কার্দেশিয়ান, মনীষা কৈরালা
পর্দায় মানুষকে বিনোদন দেয়ার মতো বড় দায়িত্বটা নিষ্ঠার সাথে পালন করেন তাঁরা। মানুষকে কখনো হাসান, কখনো কাঁদান। ক্যামেরার সামনে নিজেকে উজাড় করে নাচেন, মারেন, মার খান। তাঁদের মারপিট, ছুটোছুটি, কান্নাকাটির একটাই কারণ, মানুষকে বিনোদন দেয়া।
অথচ আপনার-আমার মতো পর্দার এ মানুষগুলোর ব্যক্তিজীবনে নানা রকমের সমস্যায় কাতর। তারকারা কত যন্ত্রণায় ভুগে দিন যাপন করেন, সে খবর হয়তো পর্দার সামনে দর্শক আঁচ করতে পারবেন না। বলিউডের শীর্ষ তারকাদের এমন অনেকে আছেন, যাঁরা দিনের পর দিন নানান শারীরিক সমস্যায় দিন যাপন করছেন। জেনে নিন এমন তারকাদের কথা যারা বিভিন্ন রোগে ভুগে চিকিৎসার জন্যে ছুটোছুটি করেছিলেন।
১. যকৃতের ৭৫ শতাংশ অংশই অকার্যকর অমিতাভ বচ্চনের। ৭০ পেরিয়েও ‘শাহেনশাহ’ বলিউড শাসন করছেন। পর্দায় এখনো যিনি নিজের মুদ্রায় নেচে মুগ্ধ করেন, একটার পর একটা সিনেমায় অভিনয় করছেন, পণ্যের বিজ্ঞাপন করে যাচ্ছেন, সেই কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন বেঁচে আছেন মাত্র ২৫ শতাংশ সক্রিয় যকৃৎ নিয়ে! বর্ষীয়ান এই অভিনেতার যকৃতের ৭৫ শতাংশ অংশই অকার্যকর হয়ে গেছে-হেপাটাইটিস বি-র মতো মারাত্মক ভাইরাসের আক্রমণে।
অমিতাভ বচ্চন নিজেই জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন তিনি ২৫ শতাংশ যকৃৎ নিয়েই বেঁচে আছেন। এই রোগ তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছিল ৩০ বছরেরও বেশি সময় আগে। ‘কুলি’ ছবির শুটিংয়ের সেটে তাঁর মারাত্মক একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তলপেটে মারাত্মক আঘাত পেয়ে প্লীহা ফুটো হয়ে যায় তাঁর। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাণের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল। সেই সময় তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অনেক রক্তদাতার কাছ থেকে রক্ত নিতে হয়েছিল তাঁকে। সেই সময়ে একজন দাতার রক্তে হেপাটাইটিস বি-র সংক্রমণ ছিলো। তাঁর রক্ত নেয়ার পরই এই ভাইরাসের (রোগের) জীবাণু তাঁর শরীরে ঢুকে যায়, যদিও ওই সময়ে কিছুই বুঝতে পারেনি কেউ। পরে ২০০০ সালে অমিতাভকে চিকিৎসকেরা জানালে, তিনি প্রথমবারের মতো বুঝতে পারেন যে তাঁর যকৃতের অবস্থা খুব সুবিধার নয়। তাঁর শরীরের যকৃতের ৭৫ শতাংশই নষ্ট হয়ে গেছে।
২. হলিউড কাঁপানো অভিনেতা ব্রাড পিটের ভক্ত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে। কিন্তু অনেকেই জানেন না, তিনি খুব কম মানুষকেই চিনেন। তার ব্যক্তি জীবনেও পরিচিত মানুষের সংখ্যা খুবই কম। পরিবার, আত্মীয় ও বন্ধুদের হাতেগোনা কয়েকজনের সাথে সময় কাটান তিনি। কারণটা জানায় এসকোয়ার ম্যাগাজিন। ব্রাড পিট এক সাক্ষাৎকারে সেখানেই প্রথম স্বীকার করেন তিনি মানুষের চেহারা ভুলে যান। তাই পূর্ব পরিচিত কাউকে দেখে তিনি চিনতে পারেন না। এই অসুখের নাম ফেস ব্লাইন্ডনেস। এই অসুখ তার জীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে। শেষ পর্যন্ত তিনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে বাধ্য হন। তার অসুখটি নির্ণয়ের পর চিকিৎসাও দেয়া হয়। কিন্তু এই রোগ পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়। কিছু মেডিটেশনের মাধ্যমে জটিলতা কমানো হলেও ব্রাড পিট এখনো ফেস ব্লাইন্ড।
৩. ফক্স টিভির টিন ড্রামা শো বেভারলি হিলস দিয়ে দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছিলেন শেনন ডোর্টি। সারা পৃথিবীতেই তার ভক্তের দেখা মিলবে। তারকাখ্যাতি যতই বেড়েছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অসুখ। যে অসুখে ভেবেছেন তার সামাজিক খ্যাতি নষ্ট হবে। কোলনে নানা জটিলতা দেখা দিলেও তিনি চিকিৎসকের কাছে যেতে চাননি। কোলনে একের পর এক অসুখ তাকে যন্ত্রণার চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে গেছে। মিডিয়াকে ফাঁকি দিতে অসুখ পুষেছেন নিজের ভেতরেই। যে কারণে অসুখ সুযোগ পেয়ে বাসা বেঁধে বসে তার ভেতরে। ১৯৯৯ সালে কোলন অসুস্থতার কথা জানতে পারলেও সেটি প্রকাশ করেননি। তবে সে বছরই স্টার ম্যাগাজিনে শেষ পর্যন্ত অসুখের কথা স্বীকার করেন। এই অসুখ নিয়ে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হবেন বলেই দীর্ঘদিন গোপন রেখেছিলেন সেটাও জানান তিনি। হলিউড পাড়ায় অনেকেই কোলন অসুস্থতার কথা গোপনেই রেখে দেন বলেই জানান তিনি। সে তালিকা পরবর্তীতে বেরিয়ে আসে।
৪. বলিউড তারকা সালমান খান একটা সময় এমনই যন্ত্রণায় ভুগছিলেন যে রীতিমতো আত্মহত্যার প্রবণতাও তৈরি হয়েছিল তাঁর মধ্যে। যে রোগে সালমান ভুগছিলেন, সে রোগের নাম ট্রাইজেমিনাল নিউরোলজিয়া। এক কথায় ফেসিয়াল নার্ভ ডিসঅর্ডার। সালমান বলেছেন, যন্ত্রণায় পাগল হয়ে একটা সময়ে তাঁর আত্মহত্যার ইচ্ছে হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নিজেকে হারতে দেননি। যন্ত্রণা থেকে দূরে থাকতে, ভুলে থাকতে পরিশ্রম আরো বাড়িয়ে দেন। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি বলেও এক সাক্ষাৎকারে জানান সালমান।
৫. শল্যচিকিৎসকের ছুরির নিচে বারবার নিজেকে সঁপে দিতে হয়েছে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানকে। নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহুবার আহত হয়েছেন শাহরুখ। প্রতিবার ফিরে এসেছেন শাহরুখ, তবে বিরতিতে যেতে হয়েছে তাঁকে। তারপরও শরীর নিয়ে মোটেও শান্তিতে নেই শাহরুখ। হাঁটুর ব্যথায় ভুগছেন দীর্ঘদিন। সেখানেও একবার সার্জারিও হয়ে। যে কারণে নি-ক্যাপ পরেই শুটিং করছিলেন। কয়েক মাস আগে ইমতিয়াজ আলীর ‘দ্য রিং’ ছবির শুটিং করার সময়েই ব্যথায় কাতর হয়ে পড়েন কিং খান। তবে সেবারও কাজ বন্ধ করেননি তিনি। ব্যথা কমানোর ওষুধ খেয়ে এবং ইনজেকশন দিয়েই ব্যথা আয়ত্তে রাখেন শাহরুখ।
৬. বলিউড ছাড়িয়ে হলিউডেও দীপিকা পাড়ুকোন জনপ্রিয়। তিনি এখন বলিউডের এক নম্বর নায়িকা। সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক আদায় করেন। যে ছবি করছেন, সেটাই বক্স অফিসে সুপারহিট। সেই দীপিকাকে বাইরে থেকে যতই শক্তপোক্ত লাগুক না কেন, তিনি একসময় যে মানসিক রোগে ভুগছিলেন, তা হয়তো অনেকেই জানেন না। শুধু তা-ই নয়, নিজের অতীতের এসব কথা বলতে গিয়ে একেবারে কেঁদে ফেলেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন।
মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি ছিলো মানসিক অবসাদ বিষয়ে। সেখানে কথা বলতে গিয়ে দীপিকা বলে ওঠেন, ‘কয়েক বছর আগে আমার সাথে দেখা করতে আমার বাড়ির লোকজন এসেছিল। তারা চলে যাওয়ার সময় আমি একা আমার ঘরে বসে ছিলাম। আমাকে মা বারবার জিজ্ঞেস করেছিল, কিছু হয়েছে? আমি মাকে বলতে পারিনি। মায়ের বারবার প্রশ্ন করায় শেষমেশ নিজেকে আটকাতে পারিনি। কেঁদে ফেলেছিলাম। জানিয়ে ছিলাম আমার মানসিক সমস্যার কথা!’
৭. বিশ্বকাঁপানো সংগীতশিল্পী এডিলি। তার কণ্ঠজাদুতে মুগ্ধ হতেই হয়। অঢেল সম্পদ আর জনপ্রিয়তা তাকে ছেয়ে রয়েছে। খ্যাতির পাহাড়ের চূড়ায় উঠেও কিন্তু অসুখ তাকে চাড়েনি। কিন্তু আপনি কি জানেন, এডিলি মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্নতা রোগে আক্রান্ত? উদ্বিগ্নতা তাকে গিলে খাচ্ছে, এ উক্তি বারবার করেছেন এডিলি। বেশ কয়েকবার লাইভ পারফর্মেন্স ছেড়ে আসেন তিনি। এখনো লাইভ পারফর্মেন্সের আগে তাকে মানসিকভাবে দৃঢ় থাকার জন্য ‘সাইকোথেরাপি’ নিতে হয়। এ নিয়ে যতটুকুক্ষু সম্ভব ভালো থাকার চেষ্টা করছেন। তবুও এই রোগ হঠাৎই আক্রমণ করে তাকে। মাত্রাতিরিক্ত অস্থিরতায় ভুগতে শুরু করেন। দমবন্ধ হয়ে আসে, বুক ধড়ফড় করে, মাথা ঘোরায় ও প্রচণ্ড বমি ভাব হয়। শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের সাথে মনের যুদ্ধ চালিয়ে এডিলি সুস্থতার পথ খুঁজছেন।
৮. ছবিতে স্টান্টম্যান ব্যবহার করা মোটেই পছন্দ করেন না তিনি। চরিত্রের খাতিরে লাফঝাঁপগুলো নিজেই সারেন। আর তার জেরেই ২০১৩ সালে মুম্বাইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালে হৃতিক রোশনের অস্ত্রোপচার হয়েছে। তার আগে কয়েক মাস ধরে মাঝেমধ্যেই মাথার যন্ত্রণায় ভুগছিলেন তিনি। মাথাব্যথাকে প্রথমে গুরুত্ব দেননি ‘কৃষ’ তারকা। পরে ডাক্তার দেখাতেই সিটিস্ক্যান করতে বলা হয়। এতেই ধরা পড়ে খুলিতে জমাট বেঁধেছে রক্ত, মাথায় একাধিক আঘাত।
৯. ২০১২ সালের কথা। ‘এক লাড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা’, ‘বাহো কি দারমিয়া’ অথবা ‘ও ইয়ারা দিল লাগানা’ গানের মিষ্টি হাসির মেয়ে মনীষা কৈরালার ক্যারিয়ার তখন তুঙ্গে। হঠাৎ করেই তাঁর জীবনে ঝড় নামল। ক্যানসার ধরা পড়ে অভিনেত্রী মনীষার। দীর্ঘদিন কেমো থেরাপিরসহ জটিল চিকিৎসা পদ্ধতির পর অস্ত্রোপচারের হয়। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। মাঝে অনেক কঠিন সময় গেছে তাঁর। এখন কিছুটা সেরে উঠতেই কাজে লেগে পড়েছেন তিনি। কিন্তু হিন্দি ছবিতে দর্শক তাঁকে এখনো আগের মতো করে পাচ্ছেন না।
১০. ‘ডেসপারেট হাউজওয়াইফ’ দিয়ে দর্শকদের মন ভুলিয়েছিলেন মারসিয়া ক্রস। ২০০৫ সালে পিপল ম্যাগাজিনে দেয়া এক সাক্ষাৎকার তার একান্ত কষ্টের কথা প্রকাশ করে সবাইকে চমকে দেয়। রোগের নাম মাইগ্রেন। সবাই কমবেশি মাইগ্রেন বা মাথাব্যথায় কষ্ট পেয়ে থাকেন। কিন্তু মারসিয়ার মাইগ্রেন যেন সেই স্বাভাবিকত্বকে ছাড়িয়ে গেছে। থেকে থেকে প্রচণ্ড মাথাব্যথায় তিনি কাতর হয়ে পড়েন। ব্যথার তীব্রতা সইতে না পেরে ঘরে বসে কাঁদতেন তিনি। এই ব্যথা নিয়ে একের পর এক কাজ চালিয়ে গেছেন। খারাপ সময়ও এসেছে তার জীবনে।
বিশেষ করে কাজের ফাঁকে মাতা ব্যথা শুরু হলেও কাউকে সেটা বুঝতে না দিয়ে আড়ালে বসে কাঁদতেন। বছরের পর বছর এটি বয়ে চলেন তিনি। তীব্র মাথাব্যথার সাথে ছিলো ঝাপসা দেখা। চিকিৎসকরা বহু ওষুধ দিয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। যে কারণে হতাশা থেকে বারবার বেরিয়ে আসার আকুলতা জানিয়েছেন তিনি।
১১. বাঙালি বংশোদ্ভূত কানাডীয় অভিনেত্রী লিসা রে। মডেল থেকে অভিনেত্রী হয়েছিলেন। নুসরাত ফতেহ আলী খানের ‘আফ্রি আফ্রি’ গানটি জনপ্রিয় করে তাঁকে। বেশ চলছিল দিন। কিন্তু ২০০৯ সালের জুন মাসে ‘মাল্টিপল মাইলেমো’ নামের একধরনের ব্ল্যাড ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর। এরপর দুরারোগ্য ব্যাধির সাথে দুই বছরের কঠিন সংগ্রামে চালিয়ে যান তিনি। চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা আর নিজের জীবনীশক্তির জোরেই ঘাতক ব্যাধিকে লিসা রে পরাজিত করেন। অবশেষে লিসা রে একজন ‘ক্যানসার সারভাইভার’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন।
১২. মাইকেল জে ফক্স। তাকে বলা হয় মেগা টিভি স্টার। একই সাথে তকমা জুটেছে মুভি স্টার হিসেবেও। কিন্তু এই জনপ্রিয় তারকার দেহের ভেতরে পারকিনসন্স অসুখটি দানা বেঁধে রয়েছে। এটি খুবই জটিল ধরনের মস্তিষ্কের একটি রোগ। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কার্যত অচল হয়ে পড়ে। সাধারণ নড়াচড়া ও হাঁটাচলা করতে পারে না। অসুখের তীব্রতায় শরীরের মাংসপেশিতে টান পড়ে। মুখ বেঁকে যায়। দাঁড়াতে গেলেই শরীর কাঁপে এবং খাবার গিলতে পারে না। গোপনে এই ভয়ঙ্কর রোগ বয়ে বেড়ান ফক্স। সাত বছর এই রোগ সবার কাছে লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। জানা যায়, মাত্র ৩০ বছর বয়সেই এ রোগ তার শরীরে আশ্রয় নিয়েছিল।
১৩. রিয়েলিটি টিভি স্টার ব্রেট মাইকেল মাদকাসক্ত। ধূমপান করতেন নিয়মিত। ফলশ্রুতিতে তার হৃদযন্ত্রে রোগ বাসা বাঁধে। এ নিয়ে চলেছেন বহুদিন। কিন্তু ২০১০ সালে এসে প্রথমবারের মতো হৃদযন্ত্রের রোগে নাকাল হয়ে পড়েন তিনি। বাধ্য হয়ে তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপ্রচার করা হয়। তবু ঠিকমতো রক্তসঞ্চালন হচ্ছিল না তার দেহে। ক্যারিয়ারের কথা বিবেচনা করে বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি। যে কারণে জটিলতা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে রক্তনালি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে ও হৃদযন্ত্রে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। এই অসুখ বুকে রেখেই অসহনীয় যন্ত্রণায় দিনযাপন করেন তিনি। প্রায়ই জ্ঞান হারানো, বুক ব্যথা নিয়ে চলছেন। এই অসুখ গোপনে রেখে কাজও চালিয়ে যান তিনি।
১৪. ২০১১ সালের ঘটনা। এক টিভিশোতে উপস্থিত হন কিম কার্দেশিয়ান। তখনই টের পান তার পায়ে গুটি গুটি লালচে দানা বেড়ে উঠেছে। চিকিৎসকরা জানাল, এটি এক ধরনের সোরাইসিস। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রোগবহনকারী জীবাণুকে আক্রমণ না করে তার নিজ শরীরের কোষগুলোকেই উল্টো আক্রমণ করছে। ত্বকের এই মারাত্মক রোগের কথা তিনি গোপন রেখেছিলেন। কিন্তু অবস্থা বেগতিক। লালচে দানাগুলো ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি ত্বকে তামাটে র্যাশ দেখা গেল। কোনো চিকিৎসাই এতে কাজ দেয় না। কয়েক সপ্তাহ পর এটি একাই সেরে যায়। আবার দেখা দেয়।
এখনো এ রোগ বয়েই চলছেন তিনি। অ্যালকোহল, ধূপমান, মানসিক চাপ এ রোগের অন্যতম কারণ। এসব থেকে আদৌ তিনি মুক্তি পাবেন কিনা সে নিয়ে সন্দিহান তিনি নিজেই।