Logo
×

Follow Us

বিনোদন

অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে : মারিয়া নূর

Icon

মোহাম্মদ তারেক

প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২১, ১০:১৪

অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে : মারিয়া নূর

মারিয়া নূর

চলতি সময়ের জনপ্রিয় উপস্থাপিকা মারিয়া নূর। সম্প্রতি ওয়েব সিরিজেও অভিনয় করেছেন। ক্যারিয়ার ও অন্যান্য বিষয়ে সাম্প্রতিক দেশকালের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক

করোনার এ সময়ে কী উপলব্ধি এলো?

জীবনটা খুবই ছোট। এত চিন্তার কিছু নেই। আমরা মনের মধ্যে অনেকসময় রাগ পুষে রাখি। এতে করে সে মানুষটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এতে করে নিজের ওপর চাপ বাড়ে। জটিলতার সৃষ্টি হয়। এটা ঠিক না। নিজেকে সময় দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ তা উপলব্ধি করেছি।

গত মাসে মুক্তি পেয়েছে আপনার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’। অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? দর্শকের সাড়া কেমন পেয়েছেন?

ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমি শুরুতে কাজটি করতে চাইনি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ভাই আমার ওপর আস্থা রাখায় কাজটি সুচারুরূপে শেষ করতে পেরেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, অভিনয় করতে হবে না, আমি যা সেভাবেই চরিত্রটিকে ধারণ করতে হবে। কাজটি করে বুঝতে পেরেছি একটি চরিত্র কী করে নিজের মাঝে ধারণ করতে হয়। চরিত্রের মাঝে বাঁচতে হয়। একটি চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে হয়। দর্শকের ভালো সাড়া পেয়েছি।

সংলাপহীন কিছু দৃশ্যে আপনার অভিনয় দর্শকপ্রিয় হয়েছে। সে দৃশ্যগুলো পর্দায় ফুটিয়ে তোলা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

ডায়ালগ দেওয়ার চেয়ে আমার কাছে সাইলেন্ট এক্সপ্রেশান দিতে বেশি ভালো লাগে। সত্যি বলতে এটি দেওয়া খুব কঠিন। এ ধরনের দৃশ্যে চোখের মাধ্যমে অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলতে হয়। এক্ষেত্রে নির্মাতা বেশ সহযোগিতা করেছেন। তিনি প্রতিটি দৃশ্য আমাকে বুঝিয়ে দিতেন। তার জন্যই কাজটি সহজ হয়েছে। শেষের চার মিনিটে কোনো সংলাপ ছিল না। সেটি দেখে একেকজন একেকভাবে ভেবেছেন। কঠিন কাজটি ফারুকী ভাই বলেই এত সুন্দর করে তুলে ধরতে পেরেছেন।

নিয়মিত অভিনয় করবেন?

‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ করার পর অভিনয়ের প্রতি আমার আগ্রহ বেড়েছে। আগে বছরে দুটি নাটক করলে এখন থেকে হয়তো চারটি নাটকের কাজ করব। নিয়মিত বলতে যা বোঝায়, তা হবে না। উপস্থাপনাই আমার প্রথম পছন্দ। তারপর অভিনয়।

ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলোয় নন ফিকশন অনুষ্ঠান খুব কম। বিষয়টি নিয়ে কী বলবেন?

যারা আমার কাছের বন্ধু তাদের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। জানতে পেরেছি ‘চরকি’ কিছু নন ফিকশন শো নিয়ে আসবে। একজন উপস্থাপিকা হিসেবে আমার জায়গা থেকে উদ্যোগটিকে সাধুবাদ জানাই। গড়পড়তা একই ধরনের অনুষ্ঠান হলে দর্শক বিরক্ত হয়। প্রায় সব শো-তেই একই প্রশ্ন করা হয়। নতুন ভাবনার কাজ দর্শকপ্রিয় হয়। যেমনটা দেখেছি ওয়েব ফিল্ম ও ওয়েব সিরিজের ক্ষেত্রে। এরকম নতুন ভাবনার নন ফিকশন শো হলে আমার ভালো লাগবে।

করোনাকালে ভার্চুয়াল শো বেড়েছে। ব্যাপারটি আপনি কীভাবে দেখছেন?

আমি বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাই। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ইতিবাচক কিছু হচ্ছে। তবে গড়পড়তা একই ধরনের কাজ হলে শোগুলো বিরক্তিকর হয়ে যায়। এখানেও ভিন্নতা নিয়ে আসলে উপভোগ্য হবে। মহামারির কথা বলে সম্মানী কমিয়ে দিলে কাজের মান থাকবে না। এ ব্যাপারটিতেও সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখা দরকার।

ইদানীং দেখা যায় যে কোনো ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম মতামত দিচ্ছে মানুষ। এ বিষয়টির প্রভাব নিয়ে কী বলবেন?

আমি চেষ্টা করি পাবলিক কমেন্ট না পড়তে। মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের হতাশার জায়গা থেকে যা খুশি লিখে ফেলে। আমরা একটি ইস্যু পেলে তা এত বেশি তেতো করে ফেলি, যা বাজে একটি পর্যায়ে চলে যায়। মেয়েদের নিয়ে ইস্যু পেলে তা আরও বেশি হয়। এটা করা উচিত না।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫