
শাবানা আজমি
বলিউডে এত সুন্দরীর ভিড়েও শাবানা আজমি বরাবরই নিজস্ব দীপ্তিতে উজ্জ্বল। ‘আর্থ’ সিনেমার পূজা ইন্দর কিংবা ‘পার’ এর রামা, কোনো চরিত্রেই শাবানা আজমির বিকল্প কাউকে ভাবা যায় না। বাণিজ্যিক ও শিল্প দুই ধারার সিনেমাতেই তিনি সফল। ৬৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী শতবর্ষের বলিউডের আকাশে অরুন্ধতীর মতোই স্থির।
শাবানা আজমির জন্ম ১৯৫০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। সেই মোতাবেক আজ তার জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে তার প্রতি শুভেচ্ছা।
শাবানা আজমি পাঁচবার জয় করেছেন সেরা অভিনেত্রীর ভারতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চারবার সেরা অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার। ২০০৬ সালে ফিল্মফেয়ার আসরে লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন তিনি। ফিল্মফেয়ারে সেরা অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন আটবার। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছেন অনেকবার। ১৯৮৮ সালে পেয়েছেন পদ্মশ্রী। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন মহাত্মা গান্ধী পুরস্কার ও রাজীব গান্ধী পুরস্কার। সমাজসেবামূলক কাজে বলিউডের আইকন হলেন শাবানা আজমি।
তার অভিনীত প্রতিটি সিনেমাতেই রয়েছে কোনো না কোনো অন্তর্নিহিত মোরাল কিংবা মেসেজ। ‘অংকুর’-এ মুগ্ধ হয়ে সত্যজিৎ রায় তার ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’ (১৯৭৭) সিনেমাতে খুরশিদ বেগমের ভূমিকায় বেছে নেন শাবানাকেই।
মহেশ ভাটের ‘আর্থ’, শ্যাম বেনেগালের ‘নিশান্ত’, ‘অন্তরনাদ’ ও ‘মান্ডি’, মৃণাল সেনের ‘খন্ডহর’, ‘জেনেসিস’ ও ‘একদিন আচানক’ এবং শেখর কাপুরের ‘মাসুম’ ও খালিদ মোহাম্মদের ‘ তেহজিব’ সিনেমায় দুর্দান্ত অভিনয় করে তিনি বলিউডের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অভিনেত্রী হিসেবে নিজের স্থান করে নিয়েছেন। বলিউড তথা ভারতীয় চলচ্চিত্রের একজন শক্তিমান অভিনেত্রী শাবানা আজমি।