
স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদের সাথে নোবেল
গায়ক নোবেলের সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপড়েন চলছিল স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদের। গুঞ্জন উড়ছিল, ভেঙে যাচ্ছে তাদের সংসার। সর্বশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর সালসাবিল নোবেলকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন।
এ বিষয়ে নোবেল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি তালাকনামা পেয়েছি কিন্তু স্বাক্ষর করিনি, করবও না। এটা তিন মাস পর নিজ থেকেই কার্যকর হবে। এ বিষয় নিয়ে আমি মোটেও বিচলিত নই।’
ডিভোর্স লেটারের দেখা যায় বেশ কিছু কারণ দেখিয়ে নোবেলকে তালাকের নোটিশ দিয়েছেন সালসাবিল। কারণগুলো হলো, এক. স্ত্রী হিসেবে গত দুই বছর খোরপোষ না দেওয়া। দুই. স্বামীর মস্তিষ্ক বিকৃত। তিন. কাবিনের প্রদত্ত শর্ত লঙ্ঘন। চার. বিবাহ প্রদত্ত কাবিনের শর্ত লঙ্ঘন। পাঁচ. চরিত্রহীনতা, নির্যাতনকারী ও পরকীয়ায় লিপ্ত। ছয়. প্রচন্ড মারধর করে, মাদকদ্রব্য গ্রহণ করে।
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে সালসাবিল মাহমুদ বলেন, ‘নোবেল আমাকে আগে থেকেই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। মারধর করে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল। এরপর থেকেই মূলত আলাদা থাকতে শুরু করি। এরপর আমি থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করেছিলাম।’
অনেক দিন ধরেই আলাদা থাকছেন সালসাবিল-নোবেল। এত দিন পর ডিভোর্স লেটার পাঠানোর কারণ ব্যাখ্যা করে সালসাবিল বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত কিছু ভিডিও দিয়ে নোবেল আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছিল। ভিডিওগুলো আমার অজান্তে ধারণ করেছিল নোবেল। আমরা স্বামী-স্ত্রী। এক বাসায় থেকেছি, সুতরাং আলাদা প্রাইভেসি রাখার প্রয়োজন বোধ করিনি। এই ভিডিও দিয়ে দীর্ঘদিন ব্ল্যাকমেইল করছে নোবেল। বিষয়টি সাইবার ক্রাইম অবগত। এসব কারণে এত দিন ডিভোর্স দেইনি।’