
সৌম্য ও সিফাত
দেশের নাট্যাঙ্গনের তারকা জুটি-সফল তারকা দম্পতি বৃন্দাবন দাস ও শাহানাজ খুশীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি।
ছোট্টবেলায় সৈয়দ শাকিলের নির্দেশনায় ও বৃন্দাবন দাসের রচনায় ‘পাদুকা বিতান’ নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। বড়বেলায় এসে শুধু বিশেষ বিশেষ দিবসে নাটকে অভিনয় করছেন সৌম্য। বলা যায় অভিনয়ে বেশ পরিপক্ক সৌম্য।
নির্মাতারা তার অভিনয়ের উপর আস্থা রাখতে শুরু করেছেন। আর আস্থা রাখারই কথা, কারণ যার অভিনয়ের অনুপ্রেরণা হুমায়ূন ফরীদি এবং যিনি বৃন্দাবন দাস-শাহানাজ খুশীর সন্তান তারতো রক্তেই অভিনয় খেলা করার কথা। হয়েছেও ঠিক তাই।
সৌম্যর অভিনয় এরইমধ্যে দর্শকের কাছে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। আজ সোমবার বিজয় দিবসে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারের জন্য বিটিভির প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে বিশেষ নাটক ‘বিজয় চিহ্ন’। এতে শুভ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌম্য জ্যোতি এবং জেরিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাইরুজ সিফাত।
এরইমধ্যে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই নাটকটির নির্মাণ কাজ শেষও হয়েছে। আজ রাত ৯টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হবে নাটকটি।
নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে সৌম্য বলেন, এই ধরনের একটি নাটকে অভিনয়ের ইচ্ছে ছিলো আমার অনেক আগে থেকেই। বিজয় চিহ্নতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে আমার সেই ইচ্ছে পূরণ হলো। এই নাটকে অভিনয় করার সময় অনেক আবেগ দিয়ে অভিনয় করতে হয়েছে। সবাই বেশ সহযোগিতা করেছেন। আশা করছি নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে।
মুনতাসির মামুনের ‘পরাজিত পাকিস্তানী জেনারেলদের দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধ’ গ্রন্থসূত্রে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘বিজয় চিহ্ন’ নাটকটি রচনা করেছেন বৃন্দাবন দাস।
নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে নাইরুজ সিফাত বলেন, এই ধরনের একটি কাজে অভিনয়ে সম্পৃক্ত হয়ে ভীষণ ভালোলাগা কাজ করছে। ধন্যবাদ জানাই নাটকটির সংশ্লিষ্ট সবাইকে। আমি ভীষণ আশাবাদী এই কাজটি নিয়ে। কারণ এটি মুক্তিযুদ্ধের তথ্য নির্ভর একটি নাটক। পরাজিত পাকিস্তানি জেনারেলদের দৃষ্টিতে কেমন ছিলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, তাই জানতে পারবে এই প্রজন্ম। এটা সতিই অনেক বড় বিষয়।
এতে আরো অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, শাহানাজ খুশীসহ আরো অনেকেই।
এদিকে নাইরুজ সিফাত এরইমধ্যে শেষ করেছেন তার প্রথম সিনেমা প্রসূণ রহমান পরিচালিত ‘ঢাকা ড্রিমের’ কাজ। একটি নতুন ট্রাভেল শোর উপস্থাপক হিসেবেও কাজ করছেন সিফাত। তার অভিনীত নতুন ধারাবাহিক হচ্ছে ‘আগুন পাখি’।