
সিনেমার প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন “ম্যাডাম ফুলি” খ্যাত ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সিমলা এবং “ঘেটুপুত্র কমলা” খ্যাত অভিনেতা মামুন।
প্রথমে নাম ছিল ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’। এই নামে সেন্সরে সিনেমাটি জমা দেওয়া হলে এটিকে প্রদর্শন অযোগ্য বলে সেন্সর বোর্ড বেশকিছু কারেকশন দেয়। পরে নাম পরিবর্তন করেও ছাড়পত্র পায়নি সিনেমাটি।
তবে ‘প্রেমকাহন’কে স্থায়ীভাবে সেন্সর ছাড়পত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন।
২০১৪ সালে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হওয়া “প্রেমকাহন” সিনেমাটি নির্মাণ করেন রুবেল আনুশ। সিনেমার প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন “ম্যাডাম ফুলি” খ্যাত ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সিমলা এবং “ঘেটুপুত্র কমলা” খ্যাত অভিনেতা মামুন। সিনেমায় দুই প্রজন্মের নর-নারীর পরস্পরের প্রতি প্রেমের কাহিনি দেখানো হয়েছে।
সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা সকল সদস্যরা আরেকবার বসে সিনেমাটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। তবে এখন পর্যন্ত এটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে সাধারণের জন্য প্রদর্শনের উপযুক্ত নয় বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে। ’
জানা যায়, এটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন উপযোগী নয় বলে সিনেমাটি সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক রুবেল আনুশ জানান, মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) তাকে বোর্ড থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হবে—'প্রেমকাহন’ বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহের প্রদর্শনের উপযুক্ত নয়। একইসঙ্গে পুরো বিষয়টি নিয়ে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
এর আগে গত বছর ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ‘প্রেমকাহন’ মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েও মুক্তি দেননি নির্মাতা।