
জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী
একটি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে মিডিয়ায় পা রাখেন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী। কাজের ধারাবাহিকতায় নাম লেখান সিনেমায়। চলতি সপ্তাহে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’। এই মাসে তার আরও একটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
নানা বিষয় নিয়ে তিনি কথা বলেছেন সাম্প্রতিক দেশকালের সঙ্গে...
কী নিয়ে ব্যস্ত?
সামনে পরীক্ষা। তাই এখন পড়ালেখা নিয়েই একটু বেশি ব্যস্ত। যদিও অনলাইনেই ক্লাস করতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় শুটিংয়ের কারণে পড়ালেখায় সময় দিতে পারিনি। সেই ক্ষতি এখন পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। তাছাড়া মিশন এক্সট্রিম ছবি নিয়েও ব্যস্ততা যাচ্ছে। ছবিটি মুক্তির পর দর্শকদের অনেক আগ্রহ দেখেছি। বেশ কিছু সিনেমা হলে ছবিটি দেখার ইচ্ছে আছে।
এ মাসেই নতুন একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে এবং আরও একটি মুক্তি পাবে। অনুভূতি কেমন?
এটি আমার জন্য সৌভাগ্যের একটি বিষয়। ৩ ডিসেম্বর ‘মিশন এক্সট্রিম’ সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে। অ্যাকশনধর্মী এ সিনেমায় আমি কেন্দ্রীয় একটি চরিত্রেই অভিনয় করেছি। এটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, একই দিন বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে মুক্তি পেয়েছে। তাই আমার অভিষেকটি হয়েছে আকর্ষণীয়ভাবে। এজন্য এ সিনেমার পরিচালক, প্রযোজক ও সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। অন্যদিকে ‘রাত জাগা ফুল’ নামে আরও একটি সিনেমা ৩১ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে। এতে আগেরটির ঠিক বিপরীত একটি গল্প। এখানে দর্শক আমাদেরকে অন্যভাবে দেখতে পাবেন।
সিনেমা দুটি নিয়ে প্রত্যাশা কী?
মিশন এক্সট্রিম নিয়ে তো রীতিমতো দর্শকদের মধ্যে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এখন পর্যন্ত যে কটা সিনেমা হলে ছবি দেখেছি দর্শক পরিপূর্ণ ছিল। এই ছবির নামের মধ্যেও একটি আকর্ষণ আছে। হল মালিকরা বলছেন অনেক দিন পর দর্শক পরিপূর্ণ সিনেমা হল দেখছেন। ছবিটি দেখে দর্শকরাও তাদের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। দ্বিতীয় সিনেমাটি নিয়েও আমি খুব আশাবাদী। আশা করি ভালো একটি সিনেমা দিয়ে বছরটি শেষ হবে।
আর কী কী সিনেমা হাতে আছে?
আমার হাতে আরও দুটি সিনেমার কাজ আছে। এর একটি হলো রায়হান রাফির ‘নূর’, অন্যটি আবু হিরনের ‘আদম’। দুটিরই সব কাজ শেষ। সেন্সরের পর ভালো একটি সময়ে ছবি দুটি মুক্তি পাবে বলে জেনেছি। এ দুটি ছবিতেও আমাকে ভালো দুটি চরিত্রে দেখা যাবে।
উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় এলেও এখন চিত্রনায়িকা। তাহলে কি পড়ালেখার পরিকল্পনা স্থগিত?
মোটেও না। আমি আসলে আইইএলটিএস করার জন্য ঢাকায় এসেছিলাম। ঢাকায় এসে সে বিষয়ের প্রস্তুতিকালীনই মিডিয়ায় ঢুকে যাই। উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার চিন্তাটা আপাতত স্থগিত আছে। কোনও এক সময় হয়তো সে ইচ্ছাটা পূরণ করব, এই আশা আছে আমার।