নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই : শিরিন শিলা

মোহাম্মদ তারেক
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৩:২২

শিরিন শিলা
চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা বছরের প্রথম দিন থেকেই শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মনতাজুর রহমান আকবরের পরিচালনায় ‘জিম্মি’ ছবির শুটিং করছেন তিনি। সহসাই শুরু হবে রাশিদ পলাশের ‘ময়ূরাক্ষী’ ছবির শুটিং। নিজের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা বলেছেন এ সুন্দরী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক।
‘জিম্মি’ ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
বছরের প্রথম দিন থেকে শুটিং করছি। এ ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা চমৎকার। আগে অ্যাকশন ছবি করলেও এভাবে করিনি। অভিনয়ের জন্য আলাদাভাবে ফাইট শিখতে হয়েছে। শুটিং করতে গিয়ে হাতেও ব্যথা পেয়েছি। যার জন্য আমার অংশের শুটিং একদিন বন্ধ ছিল। বড় আয়োজনে শুটিং করা হচ্ছে। ভালো লাগছে। ছবিটি চলতি বছর মুক্তি পাবে।
পরবর্তী ব্যস্ততা কী নিয়ে?
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ‘ময়ূরাক্ষী’ ছবির শুটিং শুরু হবার কথা। পুরো ফেব্রুয়ারিএ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকব। ছবিটিতে প্রেম ও প্রতারণার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের কাজ শেষ করেছি। নতুন কাজ নিয়ে কথাবার্তা চলছে। মেহেদী হাসানের ‘নদীর জলে শাপলা ভাসে’ ছবিটি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে। যেদিন ছাড়পত্র পায়, সেদিন গুলজার ভাই ও অঞ্জনা আপু কল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ ছবির চরিত্রটি অসাধারণ। দর্শকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে ছবিটি। তাদের কাছে এমন একটি কাজ পৌঁছাতে পারব ভেবে ভালো লাগছে। অন্যদিকে ‘ময়ূরাক্ষী’ ছবির গল্পটিও দারুণ। এ দুটি ছবি নিয়ে আমার প্রত্যাশা অনেক। বাণিজ্যিক ঘরানার বাইরের শিরিন শিলাকে এ দুটি ছবিতে খুঁজে পাবে দর্শক।
বড়পর্দার তারকারা ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কাজ করছেন। আপনাকে কবে এ প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে?
একটি ওয়েব সিরিজে কাজের ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। এখন ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মানসম্পন্ন কাজ হচ্ছে। এ প্ল্যাটফর্মের দর্শকও প্রচুর।আমি নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সেজন্য ওয়েব প্ল্যাটফর্মে কাজের ব্যাপারে ইচ্ছে আছে। গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলে দর্শক এ প্ল্যাটফর্মেও আমাকে দেখবে।
ঢালিউডে এখন নির্বাচনের মৌসুম। শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন?
আমি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছি না। এখন কাজে মনোযোগ দিচ্ছি। রাজনীতি নিয়ে কিছু ভাবছি না। তবে একজন ভোটার হিসেবে নির্বাচনের দিন ভোট দিতে যাব। যোগ্য প্রার্থীরা বিজয়ী হবেন আশা করছি। যারা বিজয়ী হবেন তারা শিল্পীদের কল্যাণে কাজ করবেন বলে আমার বিশ্বাস।
সাম্প্রতিকসময়ে শিল্পীদের নিয়ে নেতিবাচক চর্চা বেশি হচ্ছে। এ বিষয়ে আপনার কী বক্তব্য?
কিছু মানুষের কাজই হচ্ছে, নেতিবাচকভাবে সমালোচনা করা। বাইরের মানুষ গুজব ছড়ায়। আমি এসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমার কাজের মাধ্যমে দর্শক চিনবে। অনলাইনে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ করে ভিউয়ার বাড়ানোর জন্য। তারা আমাদের ব্যবহার করছে। অথচ তারা ভাবছে না শিল্পীরাও মানুষ। তাদের পরিবার-পরিজন আছে। সমাজে বসবাস করতে হয়। তাদের সম্মান আছে। বাণিজ্যিক উদ্দেশে তাদের অসম্মান করে ভিডিও প্রচার করা দুঃখজনক।
আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেলও আছে। সেখানে প্রায়ই কনটেন্ট দিতে দেখা যায়। কী ভেবে চ্যানেলটি খুলেছেন?
আমাদের লাইফস্টাইল নিয়ে দর্শকের প্রচুর আগ্রহ আছে। তারা দেখতে চায় আমরা কীভাবে চলি, কী খাই, কী পরি। তাদের কথা ভেবেই সময় পেলে ভিডিও করি। কোথাও ঘুরতে গেলে ভিডিও করে রাখি। শুটিংয়ে মজা করি আমরা। সেসব ভিডিও ধারণ করি, যাতে করে শুটিংয়ের গল্পও জানতে পারেন দর্শকরা। আসলে দর্শকদের জন্যই ইউটিউব চ্যানেলটি চালু করা।
এ বছর নিজেকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা?
আমাদের চলচ্চিত্রে চতুর্মুখী সংকট আছে। ছবির সংখ্যা কম, হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এসবের মাঝেও শুটিংয়ে ব্যস্ত আছি। ছবিতে কাজ করছি। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখব। নিজের যোগ্যতা দিয়ে কাজ করে যাব। এত নেতিবাচকতার মধ্যেও যে আলোচনায় আছি এটা বড় পাওয়া।