প্রার্থীতা বাতিল: জায়েদ খান বললেন পৃথিবীতে এটা নজিরবিহীন

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:২৪

জায়েদ খান
আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণ উল্লেখ করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণাকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেতা জায়েদ খান।
সম্প্রতি এই নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন তিনি; তবে শনিবার শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তে তার প্রার্থিতা বাতিল করে ওই পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করা হয় অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে।
এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জায়েদ খান বলেন, ‘এটা (প্রার্থিতা বাতিলের ঘোষণা) আইন বহির্ভূত, পৃথিবীতে এটা নজিরবিহীন ঘটনা।
‘ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর মৃত আপিল বোর্ড কীভাবে রায় ঘোষণা করে! আমি আইনি নোটিশ দেওয়ার পরও তারা যা করেছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবো।’
এর আগে বৃহস্পতিবার আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান এবং মোহাম্মদ হোসেনসহ পাঁচজনের নামে উকিল নোটিশ পাঠান তিনি।
ওই নোটিশে বলা হয়, ২৯ জানুয়ারি আপিল বোর্ড এবং ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত হয়েছে, এরপর তারা আর কোনো অভিযোগ বা রায় দেয়ার এখতিয়ার রাখে না।
গত ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের এই নির্বাচন ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর। ভোটের আগেই দু পক্ষের কাঁদা ছোড়াছুড়ি হয়। ভোটগ্রহণের পরদিন ভোরে ফল ঘোষণা করে সমিতির নির্বাচন কমিশন।
২০২২-২৪ কার্যকরী পরিষদের এ নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মিশা সওদাগরকে হারান ৪৩ ভোটে।
সাধারণ সম্পাদক পদে দুটি প্যানেল থেকে লড়াই করেন জায়েদ খান ও নিপুণ। জায়েদ খান ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।। আর নিপুণের পক্ষে ভোট পড়ে ১৬৩টি।
ভোটে সভাপতি পদ নিয়ে বিতর্ক না থাকলেও জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। ভোটের সময় নিপুণ তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ আনেন। পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে একই অভিযোগ করেন তিনি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ভোট বাতিল দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন তিনি। তার কাছে পীরজাদা হারুন ভোটের দিন চুমু চেয়েছিলেন বলে দাবি করেন নিপুণ। অবশ্য হারুন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।
পরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচিত চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করা হয়েছিল।
এ আবেদনটি করেন পরাজিত প্রার্থী নিপুণ। এরপর প্রার্থিতা বাতিলের অভিযোগের দিকনির্দেশনা চেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান চলচ্চিত্র সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান।
আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলে মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এফডিসিতে আসেন নিপুণ, আপিল বোর্ডের সদস্য সোহানুর রহমান সোহানসহ অনেকে।
এফডিসির বৈঠকে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে তার পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণকে জয়ী ঘোষণার সিদ্ধান্ত আসে। সন্ধ্যায় বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে জানান সোহানুর রহমান সোহান। এ জয়কে অভিনেত্রী নিপুণ ‘সত্যের জয়’ বলে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেন।