
মৌসুমী হামিদ। ছবি: সংগৃহীত
জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ। টিভি নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও অভিনয় করছেন। ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘ব্ল্যাকমেইল’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী-২’সহ কয়েকটি সিনেমায় তাকে দেখা গেছে। সম্প্রতি অভিনেত্রী ও নির্মাতা হৃদি হকের ‘১৯৭১ সেই সব দিন’ শিরোনামের একটি সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন তিনি। বিনোদনের নতুন মাধ্যম ওটিটিতেও নিয়মিত কাজ করছেন। অভিনয়-ব্যস্ততা ও সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- এন ইসলাম।
টিভি, নাটক-সিনেমা ও ওটিটি তিন মাধ্যমেই নিয়মিত কাজ করছেন। তিন মাধ্যমের কাজের মান নিয়ে আপনার মন্তব্য কি?
তিনটি প্ল্যাটফরম তিন রকমের। কোনোটির সাথে কোনোটির তুলনা হয় না বলেই আমি মনে করি। টেলিভিশন ও বড় পর্দায় অনেক গল্প আছে, যেগুলো সহজে দেখা যায় না। সে গল্প নিয়ে ওটিটিতে কাজ করা যায়। এছাড়া এখন আমাদের সব মাধ্যমেই ভালো কিছু কাজ হচ্ছে, যেগুলো দর্শকের কাছেও প্রশংসিত হয়। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের আরো পরিবর্তন আসবে।
কয়েকটি ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দেবার পরেও সিনেমায় অনেকের চেয়ে আপনাকে কম দেখা যায় কেন?
সিনেমা যারা নির্মাণ করেন তারা বলতে পারবেন, কেন আমাকে নিয়ে কাজ করতে চান না। আমি তো সিনেমায় নিয়মিত কাজ করতে প্রস্তুত আছি। আমার সিনেমাগুলোও দর্শক গ্রহণ করেছেন। তবু কোন কারণে আমার প্রতি নির্মাতাদের আগ্রহ নেই। কেন, আমিতা জানি না। এরমধ্য থেকেও ভিন্ন ধারার সিনেমাগুলোতে কাজ করছি।
সিনেমার বাইরে শিল্পীরা ভিন্ন আয়ের পথ খুঁজছেন। আপনার কোনো পরিকল্পনা আছে?
ভিন্ন আয়ের পথ থাকাটা জরুরি সবার জন্য। অভিনয়ের পাশাপাশি আমি ব্যবসাতে মনোযোগ দিয়েছি। একজন শিল্পীর সব সময় কাজ থাকে না; কিন্তু তাকে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে হয়। জীবিকা নির্বাহের জন্য অভিনয়ের বাইরে, অন্য কোনো আয়ের পথ থাকলে নিশ্চিন্ত থাকা যায়।
‘১৯৭১ সেই সব দিন’ সিনেমাটি নিয়ে বলুন?
২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদানের সিনেমা এটি। হৃদি আপু অনেক যত্ন করে শুটিং করেছেন। অভিনয়ের কৌশল দেখিয়ে দেওয়ার, পাশাপাশি তিনি কষ্টিউম থেকে শুরু করে সবদিকে নজর দিয়েছেন। আমি আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়েও খুশি। সিনেমার শুটিং-ডাবিং শেষ করেছি।
শোবিজে আপনার কাছের মানুষ কারা...
শোবিজের মানুষের সংখ্যা তো কম নয়। অনেক সিনিয়র শিল্পী থেকে শুরু করে জুনিয়রদের সাথেও কাজ করছি। কারও সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ না। এদিক থেকে বলতে পারি, আমি যাদের সাথে কাজ করেছি, তারা সবাই আমার বন্ধু। তবে এরপরেও যাদের সাথে আমি সব কিছু শেয়ার করি, তাদের মধ্যে হলো শ্যামল মাওলা ও অর্ষা।
কাছের মানুষদের কাছ থেকে আজকাল কোন কথাটি বেশি শোনেন?
বিয়ে করবে কবে? আর তোমার ভাল কাজ দেখছি না কেন? এ দুটি প্রশ্নই আজকাল আমাকে বেশি শুনতে হয়। আগেই বলেছি, ভালো কাজের বেশিরভাগ ভিউনির্ভর শিল্পীদের কাছে চলে যাচ্ছে।
বেশ কয়েক বছর ধরে বলছেন বিয়ে করবেন। আসলেই বিয়ে নিয়ে কি ভাবছেন?
আমার এখনো অনেক কিছু করা বাকি আছে। অনেক কিছু বলতে শিল্পী হিসেবে ভালো কিছু কাজ করতে চাই। আর বিয়ে নিয়ে আমি সব সময় বলে আসছি কোনো লুকোচুরি করবো না। যখন বিয়ে করব সবাইকে জানাব। এছাড়া বিয়ে নিয়ে আমার নিদিষ্ট কোনো দিন-ক্ষণ নেই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যেসব তারকার ফলোয়ার বেশি আজকাল অনেক নির্মাতা তাদের গুরুত্ব দিচ্ছেন। এটিকে কীভাবে দেখেন?
একজন তারকার যত ফলোয়ার আছে, তারা সবাইকি সেই তারকার কাজ দেখে? আমার তেমন মনে হয় না। আমি মনে করি, নির্মাতাদের চরিত্রানুযায়ী শিল্পী নির্বাচন করা উচিত। তাহলে দর্শকদের ভালো কাজ উপহার দেওয়া সম্ভব হবে। আমাদের কাজের মান কিছুটা নিচে নেমে আসার কারণ হলো চরিত্রানুযায়ী শিল্পী নির্বাচন না হওয়া। আমাদের অনেক সিনিয়র শিল্পী আছেন, যাদের ফেসবুকে ফলোয়ার নেই। তাই বলে কি তারা জনপ্রিয় না?