ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ইরফান খান। ফাইল ছবি
নিউরো এন্ডোক্রাইন টিউমার ও ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করে ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধিরুবাই আম্বানি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ইরফান খান।
আজ শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) অভিনেতার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্ট্রাগ্রামে বাবার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে ইরফানপুত্র বাবিল।
ইরফানের সঙ্গের একটি ছবি শেয়ার করে বাবিল লিখেছেন, ‘প্রিয় বাবা, আমি মনে করার চেষ্টা করছি তুমি যে পারফিউমটা মেখেছিলে যখন আমরা উত্তরে ভ্রমণ করেছিলাম নরওয়েতে আলোর নাচ দেখার জন্য। মনে পড়ছে সেই কথা। আমার এখনো মনে আছে তোমার গায়ের গন্ধ, কিন্তু আমি এর বস্তুবাদ মনে করতে পারি না। অনুভব করতে পারি যখন আমার ভাগ্য বলার জন্য হাতের তালু ধরেছিলে। কিন্তু আমার নাকে মজার ছলে চিমটি কেটেছিলে, তা ভুলে যেতে ভয় পাই। আমি মিনতি করছি ইশ্বরের কাছে এসব যেন আমি ভুলে না যাই। কারণ মন হারাতে প্রস্তুত নই আমি। আমি এগিয়ে যেতে প্রস্তুত নই এবং আমি এ ধারণার সঙ্গেই ঠিক আছি। আমরা কখনই যুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিলাম না।’
বাবিল আরো যোগ করেন, ‘তুমি এবং আমি মহাজাগতিক, একরকমই। সবই আছে, তবুও যেন এতটু ফাঁকা, তুমি আমার নিখুঁত অশ্রুবিন্দু। তুমি এখনো নিঃশ্বাস ফেলো আমার ভাবনায়। আজও আমার পাগলামিতে রয়েছো তুমি। আমার সব যুদ্ধে, নিরবতায় তোমায় খুঁজি। আমি তো তোমারই সৃষ্টি, বাবিল।’
১৯৯৫ সালে সুতপা সিকদারের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইরফান খান। ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায় পড়াশোনার সময় পরিচয় হয়েছিল দুজনের। এ দম্পতির দুই ছেলে- বাবিল এবং আয়ান। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তার অসাধারণ কাজের জন্য একটি নাম অর্জন করার পাশাপাশি, ইরফান অস্কার-জয়ী চলচ্চিত্রগুলোতেও কাজ করেছিলেন, যেমন, ‘লাইফ অব পাই’, ‘দ্য আমেজিং স্পাইডার-ম্যান’, ‘ইনফার্নো’ ইত্যাদি।
পরিচালক সুজিত সরকারের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন ইরফানপুত্র বাবিল খান। ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সের ছবি ‘কোয়ালা’তে অভিনেতা হিসেবে ডেবিউ করছেন বাবিল। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ছবিতে পরিচালক হিসেবে সুজিত সরকার, নিঃসন্দেহে বাবিলের কেরিয়ারে অন্য মাত্রা যোগ করবে। ছবির প্রযোজনায় রনি লাহিড়ি। ছবিতে আরও অভিনয় করবেন তৃপ্তি ডিমরি। ‘রেলওয়ে মেন’ ওয়েব সিরিজেও দেখা যাবে বাবিলকে।