
অ্যাম্বার হার্ড। ছবি : ইনস্টাগ্রাম
বাদ পড়ার মিছিলে জনি ডেপ একা নন, অ্যাম্বার হার্ডের ক্যারিয়ারেও নেমে আসছে অন্ধকার- বাদ পড়ছেন ওয়ার্নার ব্রাদার্সের ‘অ্যাকুয়াম্যান টু’ ছবি থেকে।
এ তথ্য জানার পর যে কেউ মনে করতে পারেন, সাবেক স্বামী জনি ডেপের সাথে চলমান মামলার ফল বুঝি এটা। কিন্তু অ্যাম্বারের বাদ পড়ার কারণ এটা নয়।
মূল কারণ হলো ‘অ্যাকুয়াম্যান’ অভিনেতা জেসন মোমোয়ার সাথে যথেষ্ট অন্তরঙ্গ নন, এ অভিযোগে কপাল পুড়ছে ৩৬ বছর বয়সী এ অভিনেত্রীর। ছবি তার পরিবর্তে অন্য কাউকে নেওয়ার কথা ভাবছেন, এমন খবরও স্বীকার করেছে প্রযোজনা সংস্থা ওয়ার্নার ব্রাদার্সের ডিসি ইউনিটের প্রধান ওয়ালটার হামাদা।
হামাদা জানিয়েছেন, ছবিতে মারা চরিত্রে আম্বারের পরিবর্তনে কাউকে নেবেন কি না, স্টুডিও কয়েক সপ্তাহ ধরেই সে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছে। তবে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া অ্যাকুয়াম্যানের প্রথম ছবিতে নায়কের সাথে ‘অন্তরঙ্গতার অভাব’ ছিল অ্যাম্বারের।

‘অ্যাকুয়াম্যান ২’ রোমান্টিক ছবি নয়। দ্বিতীয় কিস্তিতে দুই তারকার খুব বেশি অন্তরঙ্গ দৃশ্যও নেই। তারপরও কেন অ্যাম্বারকে বাদ দেওয়ার চিন্তা করছেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে হামাদা বলেন, প্রথম ছবির রোমান্টিক দৃশ্যগুলোতে অ্যাম্বার উতরে গেছেন সম্পাদনার জেরে। পোস্ট প্রোডাকশনে মুভি ম্যাজিকের মাধ্যমে তাদের রসায়ন তৈরি করা হয়েছিল।
আপাতদৃষ্টে জনি ডেপ-অ্যাম্বার হার্ডের মামলার সাথে অভিনেত্রীর ছবি থেকে বাদ পড়ার সম্পর্ক অবশ্য না থেকেও আছে। কারণ চলমান মামলায় জনির পক্ষে মামলার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সাক্ষী ছিলেন হামাদা।

জনি ডেপের সাথে ঘটনার পরবর্তী জেরে অনলাইনে প্রায় ২০ লাখ মানুষের পিটিশন করেছেন যেন অ্যাম্বার হার্ডকে ‘অ্যাকুয়াম্যান টু’ থেকে বাদ দেয়া হয়।
‘অ্যাকুয়াম্যান টু’ থেকে বাদ পড়া নিয়ে অ্যাম্বারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
২০১৮ সালের মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমার মধ্যেও আয়ের দিক থেকে পঞ্চম স্থান অধিকার করা ডিসি এক্সটেন্ডেড ইউনিভার্সের এই সুপারহিরো চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় কিস্তি আসছে ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে।