
এমিনেম। ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব র্যাপ-হিপ হপ সংগীতাঙ্গনে বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় একটি নাম এমিনেম। এক দশকের বেশি সময় ধরে এই মার্কিন সংগীত তারকা ধরে রেখেছেন তার অসাধারণ সাফল্য।
১৯৯৯ সালে গ্র্যামি পুরস্কারে ভূষিত তার প্রথম অ্যালবাম ‘দ্য স্লিম শেডি’ এলপির মধ্য দিয়ে র্যাপ-হিপ হপ অঙ্গনে, গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক, অভিনেতা ও গায়ক এমিনেমের সফল আত্মপ্রকাশ।
একবিংশ শতাব্দীর অন্যতম বেস্ট সেলার সংগীত শিল্পী হিসেবে বিশ্ব র্যাপ সংগীতাঙ্গনে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন এমিনেম। বিখ্যাত মার্কিন সংগীত ম্যাগাজিন ‘রোলিং স্টোন’ তাকে ‘কিং অফ হিপহপ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
১৩ বার গ্র্যামি ও একবার অস্কারসহ প্রায় ২৪৫টি পুরস্কারে ভুষিত হয়েছেন শতাব্দীর সেরা র্যাপার এমিনেম। তার আসল নাম মার্শাল বরুস ম্যাথার্স। জন্ম ১৯৭২ সালে মিসোরির সেন্ট জোসেফ শহরে। দেড় বছর বয়সে তার বাবা পরিবার ছেড়ে চলে যান। মায়ের সাথে অস্বচ্ছল পরিবেশে শৈশব কাটে তার। ছোটবেলা থেকেই র্যাপ সংগীতের সাথে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি।
১৪ বছর বয়সে সৌল ইনটেন্ট সংগীত গোষ্ঠীর সাথে ‘এম অ্যান্ড এম’ ছদ্মনামে শুরু করেন তার সংগীত জীবন। পরবর্তীকালে এই ছদ্মনামের পরিপ্রেক্ষিতেই এমিনেম নাম গ্রহণ করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে ‘র্যাপ অলিম্পিক’ পুরস্কার জয় করার পর তার পরিচয় হয় সংগীত প্রযোজক ড. ড্রে’র সাথে। আর সেই থেকেই শুরু হয় তার সফল সংগীত জীবন। সমাজ, পারিপার্শ্বিকতা, বিশেষ করে শৈশব ও ব্যক্তিগত জীবনের অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার প্রকাশ পায় তার গীতি কবিতায় গভীরভাবে।
২০০২ সালে হিপহপভিত্তিক ছায়াছবি ‘এইট মাইল’-এ অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন এমিনেম। এই ছবির গান ‘লুজ ইওরসেলফ’শ্রেষ্ঠ সংগীত হিসেবে অস্কার জয় করে। আর কোনো র্যাপ সংগীত শিল্পী এই পুরস্কার অর্জন করতে পারেননি। তার বিশ্বব্যাপী দশ কোটিরও বেশি অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে। প্রতিষ্ঠা করেছেন তার নিজস্ব রেকর্ড কোম্পানি।