Logo
×

Follow Us

বিনোদন

মিথিলার নতুন ছবি

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২২, ১৪:১৩

মিথিলার নতুন ছবি

রাফিয়াত রশিদ মিথিলা

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। এবার তার অভিষেক হয়েছে বড়পর্দায়।

চমকের বিষয় হচ্ছে, ১৭ জুন সিনেমায় অভিষেকের দিনে একই সঙ্গে ঢাকায় ‘অমানুষ’ এবং কলকাতায় ‘আয় খুকু আয়’ শিরোনামে এই অভিনেত্রীর দুটি সিনেমা মুক্তি পাবে। ফলে মিথিলা গড়তে যাচ্ছেন বিরল রেকর্ডও। দুই বাংলায় দুটি আলাদা সিনেমা মুক্তি দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক এবারই প্রথম কোনো শিল্পীর ক্ষেত্রে ঘটবে। তবে এই মুহূর্তে অফিসের কাজে মিথিলা সুদূর আফ্রিকার তানজানিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন। 

ছবি দুটি মুক্তির পর কেমন অনুভূতি হচ্ছে? মিথিলা মুঠোফোনে বলেন, প্রথমবারের মতো আমার ছবি হলে মুক্তি পাবে, সেটা খুশির কথা। আমার জন্য ভালো লাগার এবং একটা বিশেষ ব্যাপার। আমি খুব এক্সাইটেট। তবে নার্ভাস নই। নতুন ইতিহাস হলো যে, আমার দুটি ছবি একই দিনে দুই বাংলায় মুক্তি পাবে। এই ছবি দুটিতে আমি সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করেছি। 

তিনি আরও বলেন, আমি দর্শকদের অনুরোধ করব যে, হলে গিয়ে ছবি দুটি দেখুন। কারণ বাংলা ছবির পাশে তো থাকতে হবে। 

মন খারাপ করে তিনি আরও বলেন, আমার মনটা একটু খারাপ। মুক্তির সময় ঢাকা কিংবা কলকাতা কোথাও থাকতে পারলাম না। তাই খানিকটা খারাপ লাগা কাজ করছে। ‘অমানুষ’ ও ‘আয় খুকু আয়’ সিনেমা দুটি কেন দর্শকের দেখা উচিত?

এ বিষয়ে এই অভিনেত্রীর উত্তর, ‘অমানুষ’ বাণিজ্যিক ছবি। তবে এর গল্পটা ভীষণ আলাদা। এলিট ক্লাসের একজন মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি এই সিনেমায়। যে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছেন। একটা পর্যায়ে সে অপহরণের শিকার হন। এই ছবিটা আসলে সকল শ্রেণির মানুষের জন্য। আর ‘আয় খুকু আয়’-তে আমি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছি। সেখানে মফস্বলের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা আর মেয়ের গল্প। ইমোশনাল একটা গল্প। সেখানে অনেক টুইস্টও আছে। ছবিটি ইন্টারেস্টিং। 

আামাদের সবার প্রিয় বুম্বাদা, দিতিপ্রিয়াও আছে। এসব কারণেই দুটি সিনেমাই দর্শকের দেখা উচিত। দুটি সিনেমায় কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

এ বিষয়ে মিথিলা বলেন, চরিত্রের প্রস্তুতির কথা যদি বলি, ‘অমানুষ’ সিনেমার মেয়েটি হাফ ইংলিশ হাফ বাংলায় কথা বলে। যার জন্য এক ধরনের প্রস্তুতি আমাকে নিতে হয়েছে। জঙ্গলের মধ্যে যখন অপহরণ হয়, তখন মেয়েটা স্ট্রাগল করে। প্রচুর দৌড়, ঝাঁপ দিতে হয়। যার কারণে শারীরিকভাবে আমাকে ভীষণ খাটতে হয়েছে। শারীরিক ও মানসিক দুভাবেই প্রিপারেশন নিতে হয়েছে। আমরা দিনের পর দিন জঙ্গলে থেকেছি। পুরোদমে করোনার সময়ে জঙ্গলে ঢুকেছি আর বের হইনি। জঙ্গলে থাকাটা একটা বিচিত্র অভিজ্ঞতা ছিল। ভীষণ সবুজ, পাখির ডাক জঙ্গলের যে পরিবেশটা ব্যক্তিগতভাবে ভীষণ উপভোগ করেছি।

আর ‘আয় খুকু আয়’-তে আমার উপস্থিতি কম সময়ের জন্য। তারপরও আলাদা প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। কারণ পশ্চিমবঙ্গের একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত মায়ের চরিত্রটা কেমন হতে পারে, তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ, কথাবার্তা, হাসি সেটা আমাকে ধারণ করতে হয়েছে। ভাবতে হয়েছে। আমার মনে হয় স্বল্প উপস্থিতি থাকলেও দর্শক আমার চরিত্রটাকে ভালোবাসবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫