Logo
×

Follow Us

বিনোদন

বাইরের দেশের দর্শকের প্রশংসা শুনে মনে হয়েছে, ঠিক পথে আছি: সুনেরাহ

Icon

মোহাম্মদ তারেক

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২২, ১৪:৫১

বাইরের দেশের দর্শকের প্রশংসা শুনে মনে হয়েছে, ঠিক পথে আছি: সুনেরাহ

সুনেরাহ বিনতে কামাল। ছবি: সংগৃহীত

সুনেরাহ বিনতে কামাল প্রথম ছবি “ন’ডরাই”-এ অভিনয়ের জন্য জিতেছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর কাজ করেন নুহাশ হুমায়ূন পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মশারি’তে।

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত বুচন ইন্টারন্যাশনাল ফ্যানটাসটিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ছবিটি ‘বুচন চয়েস’ ক্যাটাগরিতে ‘জুরিস চয়েস ফর শর্ট ফিল্ম’ পুরস্কার পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন সুনেরাহ। সাম্প্রতিক দেশকালের পক্ষ থেকে সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মোহাম্মদ তারেক।

প্রথমবার কোনো আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশগ্রহণ করলেন। তাতেই পুরস্কৃত হলো আপনার ছবি। এ বিষয়ে কিছু বলেন।

আগে কখনো বিদেশি চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়া হয়নি। এবারই প্রথম গেলাম। মূলত অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য যাওয়া। ‘মশারি’ পুরস্কার পাবে ভাবিনি। অনেক ভালো লাগছে। মন খারাপ ছিল। ঈদ করছি বিদেশে। তবে উৎসবে ‘মশারি’ পুরস্কার পাওয়ায় আনন্দিত হয়েছি।

চলচ্চিত্র উৎসবে নিজের ছবি দেখেছেন এবং অন্যদের ছবিও দেখা হয়েছে নিশ্চয়ই। অভিজ্ঞতা কেমন হলো?

ওখানে যে কটি ছবি দেখেছি, তার মধ্যে ‘মশারি’ এবং আরেকটি ছবি ভালো লেগেছিল। সাধারণত কোরিয়ান দর্শকরা তেমন কথাবার্তা বলেন না। পরিচালকরা কিছু প্রশ্ন করেন। কিন্তু ‘মশারি’ দেখে দর্শকদের ভয়ে চমকাতে দেখেছি। ছবির একটি দৃশ্য দেখে আমি সবসময়ই ভয় পাই। ওখানেও পেয়েছিলাম। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়েছি। খেয়াল করে দেখলাম, এখানে দর্শকরাও চমকিয়েছে। ভয় পেয়েছে। ছবির সঙ্গে নিজেদের সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন। পরে তারা কাজের প্রশংসা করেছেন। নুহাশ যা তুলে ধরতে চেয়েছেন, দর্শকরা তা বুঝতে পেরেছেন। এটি বড় পাওয়া। বাইরের দর্শকের প্রশংসায় মনে হয়েছে, আমি ঠিক পথে আছি। একটি কথা বলা দরকার, নুহাশ অন্তর্মুখী স্বভাবের। কিন্তু উৎসবে সব নির্মাতার চেয়ে ওর কথাই শ্রুতিমধুর ছিল, যা শুনে সবাই মুগ্ধ হয়েছেন।

এ ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলুন।

অতিমারির আগে ‘মশারি’র শুটিং শেষ হয়। নুহাশ হুমায়ূনের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। সে জায়গা থেকে কাজটি করেছি। নুহাশ শুরুতে আমাকে বলেনি। সে কাদের নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে আমার মতামত জানতে চেয়েছিল। পরে ইতস্তত করে কাজটি করব কি-না জানতে চায়। পরে কাজটি করলাম। টানা পাঁচ দিন না ঘুমিয়ে শুটিং শেষ করেছিলাম। নুহাশ তখনো জানত না কেন ‘মশারি’ বানাচ্ছে। গল্পভাবনা ও তার কাজের প্রতি ডেডিকেশনের ফলে আমিও শতভাগের চেয়ে বেশি দেওয়ার চেষ্টা করেছি।

আগামীতে আপনার আর কী কী কাজ আসছে?

শিগগির ‘চরকি’তে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ওয়েব ফিল্ম ‘শুক্লপক্ষ’। যেটি পরিচালনা করেছেন ভিকি জাহেদ। আমার কাছে এটির চিত্রনাট্য ভালো লেগেছে। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাছাড়া ভিকি জাহেদের কাজ সবসময় দর্শক পছন্দ করেন। এ কাজটিও দর্শকের ভালো লাগবে। আমি নিজেও দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। এ ছাড়া একাধিক কাজের বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। যার মধ্যে রয়েছে ওটিটি ও সিনেমার কাজ। সব কিছু নিশ্চিত হলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

গত দুই ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর প্রতি দর্শকের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। আপনার প্রথম ছবির সহশিল্পী শরীফুল রাজ অভিনীত রায়হান রাফির ‘পরাণ’ সাড়া ফেলেছে। এ বিষয়ে কিছু বলেন।

আমি খুব খুশি। রাজ এত দিন পর তার কষ্টের স্বীকৃতি পাচ্ছেন। এমন একটি ছবি তার ক্যারিয়ারের জন্য ভীষণ প্রয়োজন ছিল। আর ঈদের ছবির সাফল্যের খবর দক্ষিণ কোরিয়াতে বসেই পেয়েছি। সে সময় দেখতে পারিনি। তবে এখন আস্তে আস্তে সবগুলো ছবি দেখছি।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫