Logo
×

Follow Us

বিনোদন

নায়করাজ রাজ্জাকের সেরা সিনেমা ও তাঁর নায়িকাদের গল্প

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০১৯, ১৮:৩৬

নায়করাজ রাজ্জাকের সেরা সিনেমা ও তাঁর নায়িকাদের গল্প

অসংখ্যা জনপ্রিয় ছবি উপহার দেওয়া নায়ক ও নায়িকা রাজ্জাক-কবরী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র নায়করাজ রাজ্জাক। চলচ্চিত্রে তাঁর আগমন ঘটে ষাটের দশকে, জহির রায়হান পরিচালিত বেহুলা'য় অভিনয়ের মাধ্যমে। চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয় শুরু করার আগে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ষাটের দশকের শেষের দিকে এবং সত্তরের দশকে চলচ্চিত্রের প্রধান অভিনেতা মনে করা হতো তাঁকে। অভিনয় জগতে বিচিত্র ধরণের চলচ্চিত্র ও চরিত্রে অভিনয় করে মানুষের মন জয় করেছেন। হয়ে উঠেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর জনপ্রিয় ও ভালোলাগার সিনেমাগুলোর কথা জানিয়েছেন।

নীল আকাশের নিচে
নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘নীল আকাশের নিচে’ ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৬৯ সালে। ছবিটি সেই সময়ে তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক ও কবরী। এই সিনেমার জনপ্রিয় গানগুলো হলো নীল আকাশের নিচে, হেসে খেলে জীবনটা, প্রেমের নাম বেদনা।

জীবন থেকে নেয়া
জীবন থেকে নেয়া জনপ্রিয় একটি সিনেমা। মুক্তি পায় ১৯৭০ সালে। জহির রায়হান পরিচালিত এই সিনেমাটি সামাজিক প্রেক্ষাপটসহ আরো নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। সংসার, চাবির গোছা আয়ত্তীকরণ, আন্দোলন ইত্যাদি নানা দিক মিলিয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছে সিনেমাটি।

স্বরলিপি
নজরুল ইসলাম পরিচালিত এই সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭০ সালে। এটিও বেশ জনপ্রিয় একটি সিনেমা। এই সিনেমার জনপ্রিয় গান ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’। গানটি শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছবিতে রাজ্জাকের বিপরীতে নায়িকা চরিত্রে ছিলেন ববিতা।

রংবাজ
১৯৭৩ সালে জহিরুল হক পরিচালিত এই ছবিটির মাধ্যমে প্রযোজক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন রাজ্জাক। ছবির ‘হৈ হৈ হৈ রঙিলা’, ‘সে যে কেন এল না’ গান দুটো এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

আলোর মিছিল
‘আলোর মিছিল’ সিনেমায় রাজ্জাকের পাশাপাশি আরো ছিলেন ববিতা, ফারুক, সুজাতা প্রমুখ।১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। এ ছবির মাধ্যমে ববিতা প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

ছুটির ঘণ্টা
ছুটির ঘন্টা সিনেমাটি দেখেনি, এবং চোখের জল ফেলেনি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ১৯৮০ সালে মুক্তি পায় ব্যতিক্রমী গল্পের এই সিনেমাটি। পরিচালনা করেছেন আজিজুর রহমান। ছবির মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছে শিশুশিল্পী সুমন। এর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন রাজ্জাক। তার চরিত্রের নাম আব্বাস। তিনি দপ্তরির ভূমিকায় অভিনয় করে মন জয় করেছেন সবার।

বড় ভালো লোক ছিল
‘বড় ভালো লোক ছিল’ মুক্তি পায় ১৯৮২ সালে।সিনেমাটির জনপ্রিয় গানগুলো হলো ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুশ’ কিংবা ‘তোরা দেখ, দেখ দেখরে চাহিয়া’। সিনেমাটির পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এই সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে রাজ্জাক পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার।

বাবা কেন চাকর
বাবা কেন চাকর সিনেমাটি রাজ্জাক অভিনীত জনপ্রিয় একটি সিনেমা। ছিবিটি নির্মাণকালে তিনি আর নায়ক নন, অভিনয় করতেন পার্শ্বচরিত্রে। কিন্তু এই ছবিতে ছাড়িয়ে গেছেন নায়কদেরও। পুরো ছবিই আবর্তিত হয়েছে তাকে ঘিরে। অবহেলিত এক বৃদ্ধ বাবাকে পর্দায় এতটা বিশ্বাসযোগ্যভাবে তুলে ধরা শুধু তার পক্ষেই সম্ভব ছিল। অভিনয়ের সঙ্গে ছবিটির পরিচালকও ছিলেন তিনি। ছবিতে অভিনয়, আবেগ ও ডায়ালগ দেওয়ার মাধ্যমে অসংখ্যবার দর্শকদের কাঁদিয়েছেন তিনি।

বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ নায়করাজ রাজ্জাক তাঁর অভিনয় জগতে বহু নায়িকা পেয়েছেন। নায়িকাদের সাথে রসায়নও মিলতো বেশ। জেনে নিন রাজ্জাকের সেরা পাঁচ নায়িকা সম্পর্কে।

শাবানা
রাজ্জাক- শাবানা জুটি সত্তর থেকে নব্বই দশক পর্যন্ত একটানা ছবি করেছেন। শাবানার সঙ্গে নায়করাজের প্রথম সুপারহিট ছবি কাজী জহিরের ‘অবুঝ মন’। ‘মাটির ঘর’-এর নায়কও ছিলেন রাজ্জাক। এটি ছিল শাবানার প্রথম প্রযোজিত ছবি। একাধিক ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন দেশীয় চলচ্চিত্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী এই দুই চিত্রতারকা।

কবরী
নায়করাজের নাম উচ্চারিত হলেই আরেকটি নাম উচ্চারিত হয়। নামটি হলো কবরী। সুভাষ দত্তের ‘আবির্ভাব’ থেকে এই জুটির জয়যাত্রা শুরু। বছর দশেক এই জুটি চুটিয়ে ছবি করেছে। একটি দুটি ছাড়া বাকি ছবিগুলো তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে। তুঙ্গে থাকা অবস্থায় এই জুটি ভেঙে গেলে দর্শক হৃদয়ে রয়ে যান। রাজ্জাক-কবরীকে অনেকে সর্বকালের সেরা জুটিও বলে থাকেন।

সুচন্দা
সর্বপ্রথম রাজ্জাক সুচন্দার সঙ্গেই অভিনয় করেন। সুচন্দার সঙ্গে নায়ক হিসেবে রাজ্জাকের যাত্রা শুরু জহির রায়হানের ‘বেহুলা’ ছবিতে। তবে এই জুটির কালজয়ী ছবিটির নাম ‘জীবন থেকে নেয়া’। জহির রায়হানের ‘আনোয়ারা’ এবং আমজাদ হোসেনের ‘জুলেখা’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন এই জুটি। ষাটের দশকে রাজ্জাক-সুচন্দা জুটি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা কুড়িয়েছিল।

ববিতা
নায়িকা হিসেবে নায়করাজের সঙ্গে ববিতার প্রথম ছবি ‘শেষ পর্যন্ত’ এবং শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম ছবি ‘সংসার’। ‘অনন্ত প্রেমে’ সিনেমার নায়িকা হিসেবে ববিতাকেই বেছে নিয়েছিলেন রাজ্জাক। ববিতাও তাঁর ব্যানারের প্রথম ছবি ‘ফুলশয্যা’য় রাজ্জাককে নায়ক হিসেবে নেন। ববিতার প্রথম জাতীয় পুরস্কার আসে রাজ্জাক অভিনীত ‘বাদী থেকে বেগম’ ছবিতে।

শবনম
‘আয়নাতে ওই মুখ দেখবে যখন’ গানটিকে বলা হয় নায়করাজের রোমান্টিক ইমেজের ট্রেডমার্ক। এ গানে ফোনের ওপাশে থাকা অভিনেত্রীর নাম শবনম। অশোক ঘোষ পরিচালিত ‘নাচের পুতুল’ ছাড়াও আরো কিছু ছবিতে জুটি বেঁধেছেন রাজ্জাক-শবনম। ছবিগুলো দর্শকদের পছন্দের তালিকায় ছিল সব সময়।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫