কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির বর্তমান ও অতীতের শারীরিক অবস্থা। ছবি: সংগৃহীত
কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনির শারীরিক অবস্থার আরো উন্নতি হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা সাপেক্ষে আগামী সপ্তাহে রনিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন তার চিকিৎসকরা। তিনি বর্তমানে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন জানান, রনির ডান হাতটা ভালো হয়েছে। বাঁ হাতের ক্ষত শুকাতে আরো কিছুটা সময় লাগবে।
তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে রনির সাথে আহত এক পুলিশ সদস্য রয়েছেন। তিনিও সুস্থ হয়ে গেছেন। আগামী সপ্তাহে হাসপাতাল থেকে তাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। ছাড়পত্র দেওয়ার সময় গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানানো হবে।
শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে আবু হেনা রনি গণমাধ্যমকে বলেন, এখন ৮৫ ভাগ ভালো বলা যেতে পারে। নিয়মিত ড্রেসিং হচ্ছে। চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সামান্য কিছু জটিলতা থাকায় আগামী শনি বা রবিবার হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরার কথা রয়েছে।
দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি ভয়াল সেই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে রনি বলেন, আইজিপি স্যার থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবাই বেলুন উড়িয়েছিলেন সেদিন। আমি পাশেই ছিলাম, কিন্তু বেলুনটা না উড়ে ভেসে আমাদের কাছে চলে আসে। বেলুনে কি লেখা রয়েছে তা পড়ার জন্য আমি সেটা ধরেছিলোম। আমি আমার পারফরমেন্সের জন্য ক্লু খুঁজছিলাম। সে সময় অন্য পুলিশ সদস্যরা বিষয়টা খোঁজার চেষ্টা করছিলেন যে বেলুনটা কেনো উড়ল না। যে এই বেলুনের দায়িত্বে ছিল সে মনে করেছে ভারী কিছু আছে, সেটা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে আলাদা করার চেষ্টা করেন তিনি। তখন হাইড্রোজেন বোমার মতো ১০০ বেলুন একসাথে ব্লাস্ট হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রনিকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) থেকে কেবিনে নেওয়া হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে গাজীপুর জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে গাজীপুর মেট্রো পলিটন পুলিশের চতুর্থ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান ও নাগরিক সম্মেলনে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন।