‘দাস্তান-ই-কবুল’ ধারাবাহিকের সেটে অভিনেত্রীর মৃত্যু নিয়ে মুম্বাই টেলিপাড়া সরগরম। ২০ বছরের অভিনেত্রী তুনিশা শর্মাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন ধারাবাহিকেরই নায়ক শেজান খান। তুনিশা-শেজানের সম্পর্ক ছিল অনেক দিনের। কিন্তু ঘটনার প্রায় ১৫ দিন আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। 

জানা যায়, তুনিশা তার সহশিল্পী শেজান খানের মেকআপ রুমে আত্মহত্যা করেন। শুটিংয়ের পর শেজান মেকআপ রুমে যাওয়ার পর দরজা বন্ধ থাকায় বেশ কয়েকবার চিৎকার করে তুনিশাকে ডাকেন। এরপর মেকআপ রুমের দরজা ভেঙে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তুনিশাকে পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তুনিশা-শেজানের সম্পর্ক ছিল অনেক দিনের। কিন্তু ঘটনার প্রায় ১৫ দিন আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়। তবে ঘটনার দিন মেকআপ রুমে এক সাথে বসে খাওয়া-দাওয়াও করেছিলেন তারা।

এদিকে তুনিশার মা বনিতা শর্মা শেজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জানান, শেজান ধারাবাহিকের সেটেই মাঝে মাঝে মাদক সেবন করতেন। এছাড়া তার মেয়ের মৃত্যুর জন্য শেজানের চরিত্রের দিকে আঙুল তোলেন তিনি। 

তিনি বলেন, শেজান প্রতারণা করেছে আমার মেয়েকে। আমার মেয়ে শেজানের ফোন চেক করে দেখেছে সে অন্য মহিলার সাথে কথা বলে। হাতেনাতে ধরে ফেলার পর শেজানকে এই বিষয়ে জেরা করায় সে আমার মেয়ের গায়ে হাতও তুলেছে।

তুনিশার মা জানিয়েছেন, শেজান শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত তিনি চুপ থাকবে না।

জানা যায়, ইতিমধ্যে শেজানের ফোন খতিয়ে দেখেছে মুম্বই পুলিশ। দেখা গিয়েছে, আর এক মহিলার সাথে তার হোয়াটসঅ্যাপে কথা হত। তুনিশার মৃত্যুর দিনও ২ ঘণ্টা কথা বলেছেন তারা। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই শেজান সেই মেসেজ ডিলিট করে দিয়েছেন। সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ।