নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে চাই: সজল

জনপ্রিয় অভিনেতা সজল। গেল বছর এ অভিনেতার বেশ কিছু কাজ দর্শকের মধ্যে সাড়া পেল। জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘জ্বীন’ ও হৃদি হকের পরিচালনায় ‘১৯৭১ : সেই সব দিন’ সিনেমায় দেখা যায় তাকে। এ ছাড়া ওটিটিতেও ব্যস্ত সময় পার করেন তিনি। সব মাধ্যমেই ভালো কাজ কারার জন্য প্রস্তুত থাকেন বলে জানান তিনি। অভিনয় ও নানা বিষয়ে সাম্প্রতিক দেশকালের সঙ্গে কথা বলেছেন এ অভিনেতা।

অভিনেতা হিসেবে দীর্ঘদিন আপনি সফলভাবে টিকে আছেন। এটিকে কীভাবে দেখছেন? 

অভিনেতা হিসেবে এটা আমাকে বেশ আনন্দ দেয়। একই সঙ্গে ভালো কাজের জন্য উৎসাহিত হই। আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে কিছু করতে চাই না। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ভালোর সঙ্গে থেকেছি। নির্মাতারাও আমাকে নিয়ে সেভাবে ভালো কাজের সঙ্গে থাকার সুযোগ দিয়েছেন। দর্শকের কাছে যে ভালোবাসা পাই সেটিকে আরও সুন্দরভাবে কাজে লাগানেরা চেষ্টা করি।  

একটা সময় ছোটপর্দায় নিয়িমিত ছিলেন। কিন্তু এখন সব প্ল্যাটফরমেই কাজ করছেন। এটি কেন?

ছোটপর্দা দিয়েই আমার যাত্রা শুরু। এটির প্রতি অন্যরকম ভালোবাসা আছে এবং থাকবে। তবে এখন সময়ের সঙ্গে আমাদের নতুন নতুন অনেক মাধ্যম এসেছে। সিনেমাতেও নির্মাতারা আমাকে নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। তাই টিভি নাটকের পাশাপাশি এ মাধ্যমগুলোতেও কাজ করছি। অভিনেতা হিসেবে আমি মনে করি, শিল্পীর নিজস্ব কোনো প্লাটফরম থাকতে নেই। যেখানে কাজের সুযোগ থাকবে সেখানেই কাজ করা উচিত। 

রোমান্টিক চরিত্রের বাইরে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রেও আপনি অভিনয় করেন। কাজের আগে চ্যালেঞ্জিং চরিত্র নিয়ে কতটুকু ভাবেন?

গল্পটা যখন হাতে পাই তখন আমার চরিত্রটা নিয়ে স্টাডি করি। দর্শক আমাকে এ চরিত্রে কতটা গ্রহণ করবে বা কতটা পছন্দ করবে সেটি দেখি। তবে চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের জন্য একজন শিল্পীকে মানসিকভাবেও প্রস্তুত থাকতে হয়। চরিত্রের গভীরে যদি না যাওয়া যায় তাহলে দর্শকের কাছে এ ধরনের চরিত্র গুরুত্ব পায় না।

ক্যারিয়ারের এ সময়ে কোন চরিত্রগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন?

ক্যারিয়ারের এ পর্যায়ে আমি রিস্ক নিতে চাই সব সময়। ভিন্ন রকম কিছু, ভিন্ন রকম কোনো চরিত্র ও নিজেকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে চাই। নিজেকে ভেঙেচুরে নতুন করে উপস্থাপন করতে চাই। গতানুগতিক কাজ থেকে বের হয়ে নতুন কিছু করতে পারলেই আনন্দ লাগে।

আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী কাকে ভাবেন?

আমি নিজের সঙ্গে নিজেই প্রতিযোগিতা করি। সহকর্মীদের কাছ থেকে জানার ও শেখার চেষ্টা করি। আমাকে আমার সিনিয়র শিল্পীরাও অনেক কিছু শিখিয়েছেন। হাতে ধরে শিখিয়েছেন। আবার কোনো একটা প্রজেক্টে কাজ করতে করতে সহশিল্পীর কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখেছি। ফলে ওই কাজটা আরও সহজ এবং সাবলীল হয়ে গিয়েছে। এ কারণে সহশিল্পীদের কখনো প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবিনি। আমি একটা কথা বিশ্বাস করি, এখানে সবাই তার নিজের যোগ্যতায় টিকে থাকে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //