ঘূর্ণিঝড় আমফান
মঙ্গলবার বিকেল থেকে মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২০, ১৫:৩৩

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আমফান বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসায় আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল থেকে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া শুরু করবে সরকার।
আজ সোমবার (১৮ মে) দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়র সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শাহ কামাল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি এখন যে গতিতে এগিয়ে আসছে তাতে এটি মঙ্গলবার শেষরাত থেকে বুধবার সকাল নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তাই আগামীকাল বিকেল থেকে হয়তো উপকূলীয় এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া শুরু হবে।
তিনি বলেন, রোজার দিন এটা মাথায় রেখেই আমরা লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেব। গর্ভবর্তী নারী, মহিলা, প্রতিবন্ধী ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হবে। পুরুষদের অনেকে ইফতার করে রওনা দেবে।
স্থানীয় প্রশাসন ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করেছে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, কভিড-১৯ মহামারির মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ আসায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। একেকটি পরিবারের সদস্যরা যাতে একসাথে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে।
তিনি বলেন, গাদাগাদি করে যাতে না থাকে এজন্য আমরা স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে নিয়েছি। উপকূলীয় এলাকায় আমাদের ৫ হাজার সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। সেখানে ২১ লাখের মতো মানুষকে রাখা যায়। আমরা ইতোমধ্যে প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করে ফেলেছি।
সচিব শাহ কামাল বলেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করে আজ বিকেল ৫টার মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে জেলা প্রশাসনগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, সোমবার বেলা ১২টায় আমফান অবস্থান করছিল পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায়।
সে সময় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে; মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ওই সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৫ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
এই ঘূর্ণিঝড় সরাসরি সরাসরি বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।