বাংলাদেশের আনাচেকানাচে ঝোপঝাড়ে এ গাছ বেড়ে উঠতে দেখা যায়। সাধারণত শ্রাবণ মাসে বেড়েলা গাছ জন্মে। শরৎ ও হেমন্তে হলুদ ফুলে ভরে ওঠে বেড়েলা গাছ। প্রত্যেক ডালের ডগায় পাঁচটি পাপড়ি বিশিষ্ট হলুদ ফুল ফোটে বেড়েলা গাছে। পাতা সাধারণত সবুজ কিন্তু কচি পাতা হালকা সাদা। পাতার চারিধার করাতের মতো খাঁজকাটা।

এটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। অবহেলিত ঝোপঝাড়েই এর অবস্থান। এই গাছ ২- ৩ ফুট উঁচু হয়। অনেক প্রকার বেড়েলা দেখা গেলেও যে বেড়েলার পাতা নরম, মসৃণ তথা ভেলভেটের মতো হৃৎপি-াকার সেই গাছ ঔষধি হিসেবে অধিক কার্যকর। এই গাছের মূলের রস ক্ষত সারাতে কার্যকরী। অন্যদিকে হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা কাটাতে বেড়েলা দারুণ উপকারী।

গ্রামের কবিরাজ ও বৈদ্যদের কাছে এখনো আদরণীয় এই গাছ। বেড়েলার বৈজ্ঞানিক নাম Sida Cordifolia. ফুল গুচ্ছাকারে ডালের ডগায় থাকে। হলুদ রঙের হলেও ফুল কখনো কখনো হালকা কমলা রঙের হয়ে থাকে। বেড়েলা ৫০- ১০০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। কখনো কখনো ২ মিটার পর্যন্ত হতে দেখা যায়। এটি কাশিতে, শারীরিক দুর্বলতায় অর্থাৎ অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা মানুষকে খুব সহজে চাঙ্গা করতে পারে। তাই গ্রামের বৈদ্যদের কাছে এটি আজও আদরণীয়।