
হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ফাইল ছবি
দেশের কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
পরবর্তী দুইদিনে আবহাওয়ার অবস্থা উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। তবে পরের পাঁচদিনের আবহাওয়ার অবস্থা সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলে গতকাল সোমবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় রাঙ্গামাটিতে সর্বোচ্চ ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী ও সৈয়দপুরে ৪০, নেত্রকোনায় ৩৯, শ্রীমঙ্গলে ৩৩, রংপুরে ২৬, ডিমলায় ২৫, তাড়াশ ও ফরিদপুরে ২২, রাজারহাটে ২১ এবং মাইজদীকোর্টে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এছাড়া সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। গতকাল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন শ্রীমঙ্গলে ২৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ ছত্রিশগড় এবং এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বাড়তি অংশ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, উড়িষ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে দেশের উত্তর, উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ১০টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। যমুনা নদীর পানি ৮ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এছাড়া আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এই নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। এতে করে আরো কিছু এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী এবং ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে। বাড়তে পারে ব্রহ্মপুত্র নদ, পদ্মা, মনু ও খোয়াই নদীর পানি।