বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার শক্তিশালী কেন্দ্র মিয়ানমারের দিকে চলে যাওয়ায় সেন্টমার্টিন ও টেকনাফে তুলনামূলক কমই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোখার প্রভাব উপকূলীয় এলাকায় গতকাল রবিবার (১৪ মে) বিকেল থেকেই কমতে শুরু করে। সন্ধ্যা নাগাদ আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ ঘরে ফিরতে শুরু করে উপকূলের বাসিন্দারা।
আজ সোমবার (১৫ মে) সকল প্রকার সংকেত নামিয়ে নেয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিন আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হলো।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর সংকেত দেখে যেতে বলা হয়। রোববার দিনব্যাপী চলে ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত। ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি উত্তাল ছিল সাগর। একই সঙ্গে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হয়েছে।
দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পর ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করার পর স্বস্তি ফেরে উপকূলীরবাসীর। গতকাল রবিবার সন্ধ্যার পর ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখে যেতে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মোখা নিয়ে সতর্ক সংকেত শুরু হওয়ার পর থেকেই বন্ধ থাকে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহ।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh